‘আদিবাসী’দের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে
একটি নৃ-গোষ্ঠী বা মানব গোষ্ঠীর মৌল পরিচয় তাদের ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক আচার-আচরণ ও সংস্কৃতির মধ্যেই নিহিত। এবং এর মাধ্যমেই তারা স্বতন্দ্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করতে পারে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানায় এমন কিছু জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কারণে আলাদা জাতিসত্তা হিসেবে মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। সে কারণেই তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি।
হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হওয়ার পর দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এবং সকল জাতি গোষ্ঠীর ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতি ঐতিহ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য একটি সার্বজনীন সংবিধান প্রণয়নের সম্ভাবনা দেখা দেয়। এবং নানা পথপরিক্রমায় বহুল আলোচিত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়েছে। কিন্তু এই সংশোধন নিয়ে নানা বিষয়ে কথা রয়েই যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির ব্যাপারে যতোটা আশা করেছিল পঞ্চদশ সংশোধনীতে ততটা হয়নি। এইসব জাতিগোষ্ঠীর লোকজন বলছেন, ‘আদিবাসী’ (Indigenous) হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় তাদের অধিকার খর্ব হয়েছে। এবং ‘ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী’ হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেয়া হলেও এটা আসলে কোনো মানে বহন করে না। কারণ বাংলাদেশে বাঙালি-অবাঙালি মিলে অনেকগুলো মানবগোষ্ঠী বাস করে। কাজেই ‘মানবগোষ্ঠী’ হিসেবে সম্বোধন করে সংবিধানে স্বীকৃতি দিলে তাদের সম্পূর্ণ মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা হয় না। এ জন্য জাতিসংঘসহ সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত ‘আদিবাসী’ অভিধায়ই তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলছেন তারা। প্রয়োজনে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা/অনুচ্ছেদ পুনরায় সংশোধনের কথাও বলা হচ্ছে।
আদিবাসী বলি আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যাই বলা হোক না কেন তারা এই দেশেরই নাগরিক, অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মত তাদেরও এই দেশের জল-হাওয়া সমানভাবে স্পর্শ করে। এইসব নৃ-গোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ধর্ম, ভাষা, ও সংস্কৃতি। রয়েছে নিজস্ব আচার অনুষ্ঠানও। ঐতিহাসিক কাল থেকেই তারা এদেশে বসবাস করছে। এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে তারা আমাদের সংস্কৃতিকে করছে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও পরিপুষ্ট। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, তারা যেন নিজভূমে পরবাসী। সাংবিধানিকভাবে এসকল জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি তাই কোনোভাবেই উপেক্ষার নয়।
আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতির ব্যাপারে তাদের পরিচয় সংকট একটি প্রধান বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আদিবাসীদের ‘ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী’ হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এতে তুমুল আপত্তি তুলেছেন এদেশে বসবাসকারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর লোকজন। তারা বলছেন, নিজস্ব পরিচয় অক্ষুণ্ণ রেখেই তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। কারণ তারা এদেশেরই সন্তান। সংখ্যা বা জাতিসত্তার বিচারে নয়, এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মতই তাদেরও এই রাষ্ট্রের সকল কিছুতে সমান অধিকার রয়েছে।
প্রতিটি নৃ-গোষ্ঠীরই রয়েছে দীর্ঘ ধারাবাহিক ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ধর্ম, ভাষা। কোনো কোনো নৃ- গোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষার লিপি বা বর্ণমালা। বিশেষজ্ঞের মতে, ‘একই রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে দীর্ঘকাল বসবাস করে সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক এসকল জনগোষ্ঠী সঙ্গত কারণেই স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসাবে মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। একটি জাতি হিসাবেই তাদের অধিকাংশের উদ্ভব ঘটেছে। অনেকেরই ছিল নিজস্ব রাষ্ট্রকাঠামো ও স্বতন্ত্র ভৌগোলিক সীমারেখা।’
আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিবর্তনে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় কাঠামো বলয়ে বিলীন এবং জাতিগত বৈশিষ্ট্যানুযায়ী স্থানান্তর কৃষিপদ্ধতিজনিত অনবরত স্থানান্তর ক্রমশ তাদের বিচ্ছিন্ন ও লঘু নৃ-গোষ্ঠীরূপে পরিণত করেছে।
সংখ্যালঘুতার কারণে প্রতারিত ও বঞ্চিত জীবনের ভার বইতে বইতে গুটিয়ে গেছে নিজেদের মধ্যে। কখনো বা বিসর্জন দিয়েছে আত্মপরিচয়, নাম, গোত্র এমনকি ধর্মবিশ্বাস পর্যন্ত। অধিকার বঞ্চিত এসব নৃ- গোষ্ঠীর অনেকে বর্ণহীন বলেই তাদের জীবনের সুমহান বাণী লিপিবদ্ধ হয়নি মাতৃভাষায়। তাইতো তারা আজ বিলুপ্তির চৌকাঠে দাঁড়িয়ে। কিন্তু লিখিত বর্ণমালা না থাকা সত্ত্বেও নিসর্গকেন্দ্রিক জীবনে তাদের উৎসব, পার্বণ, নৃত্য, গীতিনাট্য, গীতিকা, পালা ইত্যাদি শিল্প এবং নানা রকম ক্রীড়া কসরৎ ইত্যাদি গড়ে ওঠে জুমকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকােণ্ডের মাধ্যমে। ঘন-গম্ভীর শালবনের পাতায় পাতায় ঠোঁটের স্নিগ্ধ স্পর্শ বুলিয়ে শিশু-রোদের কণা ছড়িয়ে পড়তো জুমচাষে নিরতা গারো রমণীর বাদামী অথবা শ্যামলা কালো গ্রীবার পরে। শ্রমক্লান্ত স্বেদসিক্ত, প্রাকৃত সুন্দরী তার ছোট ছোট চোখে সেই সদাহাস্য রৌদ্রকণার দিকে তাকিয়ে সংযুক্ত দুই কর কপালে ঠেকিয়ে নমস্কার জানাতো তার ফসলের দেবতা ‘সালজংকে’। প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর মধ্যেই রয়েছে এরকম নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্যের বিপুল সম্ভার। যা তাদের একটি জাতির সমতুল্য হবার যোগ্য করে তোলে নিঃসন্দেহে।
বাংলাদেশের নৃ-গোষ্ঠীসমূহের সবচেয়ে উল্লেযোগ্য ও আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। দুঃখজনক হচ্ছে, নৃগোষ্ঠী সমূহের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সাহিত্যের সামগ্রিক রূপটি বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালিদের নিকট অনেকটাই অপরিচিত রয়ে গেছে। এর পেছনে রয়েছে নানাবিধ কারণ। বাংলাদেশের নৃ-গোষ্ঠী জনসাধারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করে। এর পেছনেও সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। সূদুর অতীতকালে তারা যখন এতদ্ঞ্চলে অভিবাসন শুরু করে তখন পূর্ববাসস্থলের ভৌগোলিক আবহের সঙ্গে যে অঞ্চলের মিল পেয়েছে সেখানেই তৈরি করেছে আবাসন। অর্থাৎ পূর্ব ঐতিহ্য অনুযায়ী তারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবাস গড়ে তুলে। এরফলে ভৌগোলিকভাবে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালিদের সঙ্গে এদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এভাবে মূলজনস্রোতের জীবন, সংস্কৃতি ও ভাষা বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে ক্রমশ তাদের দূরত্ব স্থায়ী হয়।
এছাড়া অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আগ্রাসনে নৃ-গোষ্ঠী নরনারী ও তাদের সংস্কৃতি ক্রমশ বৃহত্তর জনজীবনধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাছাড়া বাঙালিদের সঙ্গে নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা, বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক প্রথা, রীতিনীতি, ধর্মীয় কৃত্যাদি, আচার-অনুষ্ঠান, খাদ্য, সাংস্কৃতিক ও কৃষিপদ্ধতির কারণেও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ভৌগোলিক পরিমণ্ডল অভিন্ন না হওয়ায় এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের জনগণের মধ্যে ভাষাগত পার্থক্য সূচিত হয়। তাই বাংলাদেশের এক অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা অন্য অঞ্চলের মানুষের কাছে দুর্বোধ্য। নৃ-গোষ্ঠী সমূহের প্রাচীন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষারীতি কালের স্রোতে বাহিত হয়ে চলেছে তাদের সমাজে। নিজেদের গুটিয়ে রাখতে, তাদের আচরিত জীবনযাপন পদ্ধতি ও ভাষারীতি যতোটা সম্ভব আকড়ে থাকতে তারা সদা তৎপর। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে ভৌগোলিক, ভাষাতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণেও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আর এই দূরত্বই সামগ্রিকভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলস্রোতধারা থেকে করেছে বিচ্যুত। অথচ এদের ঔজ্জ্বল্যটুকু ধরে রাখতে পারলে, সর্বসাধারণ্যে তুলে ধরতে পারলে শুধু সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীই নয়, সামগ্রিকভাবে উপকৃত হবে সকলেই। এ জন্যই বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সারল্যে ভরা জীবনাচারের অধিকারী ক্ষুদ্র এসব নৃ-গোষ্ঠী সম্পর্কে সবাইকে কৌতূহলী করে তোলা একান্ত অপরিহার্য। এসব কারণেই আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়টিকে গৌণ করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আদিবাসীরা কি ক্ষুদ্র বা লঘু নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত হবে, নাকি উপজাতি হিসেবে চিহ্নিত হবে। আদিবাসী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যরা এ বিষয়ে নানা যুক্তি তুলে ধরছেন। চাকমা সার্কেল প্রধান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দেবাশীষ রায় ওয়াংঝা তার একটি লেখায় উল্লেখ করেছেন, ‘সাংবিধানিকভাবে আদিবাসীদের পরিচয়কে স্বীকৃতি দেয়া হলে তাদের জাতি গোষ্ঠীর স্বকীয়তা রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূলস্রোতধারায় আদিবাসীরা সম্পৃক্ত হতে পারবে। আদিবাসী স্বীকৃতির মাধ্যমে বাঙালি জনগোষ্ঠী যে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হবে, তা বিশ্বাস করা অবাস্তব। যথাযথ স্বীকৃতি পেলে আদিবাসীরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পরিবারের পূর্ণ সদস্যপদ পাবে মাত্র এবং একটা মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে।
আদিতে থাকা ছাড়াও আদিবাসীদের পরিচয়ের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বা সূচক রয়েছে যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি, সনদ, ও প্রতিবেদনে স্বীকৃত। এরমধ্যে হল, ১. তাদের প্রান্তিক অবস্থান ২. প্রথাগত আইন অনুসরণ করে সনাতনী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ৩. প্রাচীন আবাসভূমির সঙ্গে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং অর্থনৈতিক ও আত্মিক সম্পর্ক থাকা এবং ৪. নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি ও কৃষ্টি থাকা।’
আদিবাসীদের জীবনাচরণ যে স্বতন্দ্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত সে কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। আদিবাসীদের কে কেউ কেউ উপজাতি হিসেবেও উল্লেখ করেন। এর মানে দাঁড়ায় ‘জাতির চেয়ে কম’ অর্থাৎ উপ-জাতি। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আদিবাসীরা উপজাতি নয়। একটি স্বতন্দ্র জাতিসত্ত্বার যে সব মৌল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এদেশে বসবাসকারী প্রত্যেকটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তা রয়েছে। কোনো কোনো সমালোচক কিংবা নৃ-তাত্ত্বিক এদেরকে একটি ‘সম্প্রদায়’ হিসেবেও উল্লেখ করেন। যা মোটেও সমীচীন নয়।
বর্তমান সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে সুষ্পষ্ট অঙ্গীকার করেছিল। ইশতেহারে বলা হয়- ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, বা ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী বা আদিবাসী বা জাতিগত সংখ্যালঘুর ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান করা হবে। তাদের সম্ভ্রম, মানমর্যাদার সুরক্ষা করা হবে। রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সবক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে।’ কাজেই তাদের উচিত হবে জনরায়ের প্রতি যথাযথ সম্মান দিয়ে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা।
আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি শুধু এসকল জনগোষ্ঠীর স্বার্থেই নয় বরং দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতি ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায়ও এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। শান্তিচুক্তি তখনই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে যখন এই অঞ্চলের মানুষজন তাদের আস্থা ফিরে পাবে। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করেই তাদের ভবিষ্যত নিষ্কন্টক করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো স্ববিরোধিতা কাম্য নয়। শুধু সাড়ম্বরে দিবস পালন করলেই হবে না। দিবসকেন্দ্রিক আনুষ্ঠানিকতা থেকে বেরিয়ে এসে অধিকারের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট, টিভি উপস্থাপক।
[email protected]
এইচআর/এমএস