সৌদির হজ মেডিকেল সেন্টারে বাড়ছে রোগী

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা মক্কা থেকে
প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৮

সৌদি আরবের মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ হজ মেডিকেল সেন্টারের আউটডোরে বাড়ছে অসুস্থ হজযাত্রীর সংখ্যা। ১৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৩৩ হজযাত্রী মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন দুই হাজারেরও বেশি হজযাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জানা গেছে, হজযাত্রীদের বেশিরভাগই মক্কায় অসুস্থ হচ্ছেন। মক্কা মেডিকেল সেন্টার থেকে রেফার করা প্রায় দেড় হাজার হজযাত্রী সৌদির কেএসএ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে এ পর্যন্ত এক মহিলাসহ ৩০ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

মক্কা হজ মেডিকেল সেন্টারের টিম লিডার ডা. মো. জাকির হোসেন খান শনিবার (১১ আগস্ট) জাগো নিউজকে বলেন, অসুস্থদের মধ্যে ডায়রিয়া, ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেশি। সৌদির গরম আবহাওয়া ও অধিক তাপমাত্রার কারণে হজযাত্রীরা অসুস্থ হচ্ছেন।

hajj

হোটেল কিংবা বাড়ির এসি থেকে বাইরে প্রচণ্ড গরমে ঘোরাঘুরি করে, পবিত্র কাবা শরীফে জমজমের ঠান্ডা পানি পান করে, হোটেলের খাবার খেয়ে সর্বোপরি আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলাতে না পারায় অসুস্থ হওয়ার প্রধান কারণ।

শনিবার সরেজমিনে মক্কা মেডিকেল সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। রোগীরা প্রথমে পিলগ্রিম আইডি ও হেলথ কার্ড দেখিয়ে সিরিয়াল নিয়ে লাইনে অপেক্ষা করছেন। ভেতরে প্রথমে স্বাস্থ্য সহকারীরা রোগের বর্ণনা শুনে পরে চিকিৎসকদের কাছে পাঠাচ্ছেন। সেন্টারটির দুটি কক্ষে পুরুষ ও একটি কক্ষে মহিলা রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। ভেতরে অপেক্ষাকৃত বেশি অসুস্থ পুরুষ রোগীদের জন্য ৯ ও মহিলাদের জন্য সাত শয্যার অবজারভেশন কক্ষ রয়েছে।

মক্কা মেডিকেল সেন্টারে ৫১ ডাক্তার, ৩৯ নার্স, ৪১ ফার্মাসিস্ট ছয় ওটি সহায়ক ও ৬৫ জন হজ সহায়ক দল কাজ করছে।

টিম লিডার হাকিম হোসেন খান বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আল্লাহর ঘরের মেহমানদের যত্ন সহকারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এমইউ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।