সরকারের উছিলায় আল্লাহর ঘর দেখার স্বপ্ন পূরণ হলো
শেরপুরের নকলা থানার দরিদ্র কৃষক, ষাটোর্ধ্ব গোলাম সারওয়ার হোসেন। শুক্রবার দুপুরে পবিত্র মক্কায় মসজিদুল হারামে জুমার নামাজ আদায় করছিলেন তিনি। মক্কায় আসবেন তা গত ১৫ দিন আগেও তিনি কল্পনা করতে পারেননি। তাবলিগ-জামাতের আমির হিসেবে মাথায় পাগড়ি বাঁধেন বলে গ্রামের অনেকে ঠাট্টা করে তাকে হাজি ডাকতেন বলে লজ্জাই পেতেন। আল্লাহর ঘর দেখতে আসার কামনা করে অনেক সময় মোনাজাত করতেন।
তিনি বলতেন, হে আল্লাহ আমার টাকা-পয়সা নাই, কিন্তু হজে যাওয়ার ইচ্ছা আছে, তুমি হুকুম করলে হজে তো যেতেই পারি।
জুমার নামাজের সময় তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আল্লাহর ডাক কবুল হলে সব অসম্ভবই সম্ভব। সরকারের উছিলায় আল্লাহর ঘর দেখার স্বপ্ন পূরণ হলো। ওমরাহ করেছি ,সামনে হজও করব।
শুধু সারোয়ার হোসেন একা নন, তার মতো যাদের হজ করার আর্থিক ক্ষমতা নেই এমন অসংখ্য মানুষকে হজ করাচ্ছে সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়। আসন্ন হজে তিন শতাধিক মানুষ সম্পূর্ণ সরকারের খরচে হজ করবেন। তারা সবাই এখন মক্কায় অবস্থান করছেন।
সিরাজগঞ্জ থেকে সরকারি খরচে হজ করার সুযোগ পেয়ে এসেছেন সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ। কখনও ঢাকা শহরে একা না এলেও সৌদি আরব চলে এসেছেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ওই বৃদ্ধ বলেন, সঙ্গের লোকজন কেউই বেঁচে নেই। মনডা চাইতো মক্কা-মদিনায় আসতে, কিন্তু টাকা না থাকায় আসার সাহস হতো না। যাক সরকারের উছিলায় আমি এখন মক্কায়।
সরকারি খরচে হজযাত্রীদের রাখা হয়েছে রমিসফালা এলাকার ১৫ নম্বর বাড়িতে। শুক্রবার সকালে আরেক বৃদ্ধ ১০তলার লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের রুম খুঁজছিলেন। যাকে দেখেন তারই পথ আগলে বলেন, আসার রুম কোনডা বলতে পারেন?
এমইউ/জেডএ