‘লাইভ’ ছাড়া কথা বলতে অনীহা সিলেটের মেয়রপ্রার্থী আরিফুলের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০১৮

স্থগিত হওয়া সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী টিভিতে লাইভ (সরাসরি সম্প্রচার) ছাড়া কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, লাইভ ছাড়া টিভি চ্যালেনগুলো কাটছাট করে তার বক্তব্য প্রচার করে। এতে জাতি ‘অনেক কিছুই’ জানতে পারে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে ইসির কাছে গিয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে তিনি অনিয়মের কথা তুলে ধরেন বলেও সাংবাদিকদের কাছ দাবি করেন।

সিলেটে নির্বাচন কেমন হয়েছিল টিভির এক সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘লাইভ হলে ভাল হইতো। এগুলো বইলে টইলে লাভ নাই। আপনারা এগুলো জনগণকে দেখান না। আমি আপনাদেরকে লাইভ ছাড়া কিছু বলতে চাই না। লাইভ হলে কাটছাট করতে পারবেন না। আর না হলে আসল কথা জনগণ জানলো না।’

এসময় তিনি দাবি করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি ১ লাখ ভোটে এগিয়ে থাকতেন। অনেক অনিয়ম সত্ত্বেও যেটা মিডিয়াতে প্রকাশ হয়েছে আবার কিছুটা হয় নাই। তবুও আমি ভোটে এগিয়ে রয়েছি।

সিইসির কাছে তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন তা সিইসি দেখবেন বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান। এর আগে তিনি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় যেসব ভোটার মারা গেছেন ও প্রবাসে রয়েছেন তাদের তালিকা তিনি ইসিকে দিয়েছে। প্রবাসে যারা আছেন তাদের হয়ে কউ যেন ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারেন তারও দাবি করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। কিন্তু গোলযোগের কারণে সিলেটে দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত রয়েছে। সিলেটে স্থগিত কেন্দ্রে ভোট ১১ আগস্ট। সব কিছু স্বাভাবিকভাবে চললে ওই দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর নাম। কারণ তিনি ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। আর ওই দুই কেন্দ্রের ভোটার ৪ হাজার ৭৮৭ জন। সেখানকার অন্য কেন্দ্রগুলোর ভোট পড়ার অনুপাত অনুযায়ী বিএনপির প্রার্থীই জয় হবেন।

সিলেট সিটি নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রে ভোট হয়। কিন্তু গোলযোগের কারণে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১১৬) ও ২৭ নং ওয়ার্ডের হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৩৪) কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে দুটির প্রথম কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ২২২১ জন আর দ্বিতীয়টির ভোটার সংখ্যা ২৫৬৬ জন।

১৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট।

আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের মোট ভোটার ৪ হাজার ৭৮৭ জন।

এইচএস/এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।