‘তিনি ভর্তিযোগ্য নন’, ফের ডিবিতে শহিদুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০১৮

হাইকোর্টের আদেশে রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে বুধবার সকালে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হয়। তবে ‘হাসপাতালে তার ভর্তির প্রয়োজন নেই’- এমনটি জানান সেখানকার চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে তাকে ফের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে বিএসএমএমইউতে আসার পর তাকে কেবিনে নেয়া হয় এবং তাৎক্ষণিক চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এরপর তার কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। সব টেস্টের রিপোর্ট হাতে এসেছে। মেডিকেল টিম রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন যে, তিনি (শহিদুল আলম) ভর্তিযোগ্য নন। বোর্ড তাকে ডিসচার্জ করে দেন।’

বুধবার দুপুর সোয়া ২টায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে ফের ডিবির কার্যালয়ে নেয়া হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ডিবি পুলিশ প্রহরায় বিএসএমএমইউয়ে কেবিন ব্লক ৫১২-তে শহিদুল আলমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আনা হয়।

গতকাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা তথ্য’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজত থেকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে শহিদুলের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।

হা্ইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়। শহিদুলকে রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং তাকে হাসপাতালে পাঠানোর আবেদন জানিয়ে তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনি ও রোববার জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।

এরপর রোববার রাতে শহিদুলকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করে হাজির করা হয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে।

ওই মামলায় ‘কল্পনাপ্রসূত তথ্যের’ মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানো, উসকানিমূলক তথ্য উপস্থাপন, সরকারকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর’ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি ঘটিয়ে’ জনমনে ‘ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে’ দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ‘অপপ্রচারের’ অভিযোগ আনা হয় আলোকচিত্রী শহিদুলের বিরুদ্ধে।

এআর/এমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।