এক বছরে অডিট আপত্তি সাড়ে ৬ কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০১৮

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে এক বছরে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার অডিট আপত্তি পেয়েছে সংসদীয় কমিটি।

এসব অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৯০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, মো. শামসুল হক টুকু এবং রেবেকা মমিন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ২০১০-১১ এবং তদপূর্ববর্তী অর্থ বছরেসমূহের হিসাবের উপর মহা হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের নিরীক্ষা প্রতিবেদন ২০১০ -১১ এ অন্তর্ভুক্ত আপত্তির অনুচ্ছেদের ১, ২, ৩, ৪, ৫ এবং ৬ অডিট আপত্তির সঙ্গে জড়িত মোট ছয় কোটি ৪২ লাখ, ১৬ হাজার ৯ শত ৩৩ টাকা নিয়ে আলোচনা হয়।

ঠিকাদারকে প্রদত্ত অগ্রিম সমন্বয় না করেই চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করায় সরকারের ৮৫ লাখ টাকা এবং সুদ বাবদ ২৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫১ টাকাসহ মোট এক কোটি আট লাখ ৫৮ হাজার সাতশ ৫১ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে প্রমাণক অডিট অফিসে জমাদানের অনুশাসন প্রদান করে। তবে এ ধরনের ব্যত্যয় আর যাতে না ঘটে সেটি নিশ্চিতের পাশাপাশি বিষয়টি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সিডিউল বিক্রয়লব্ধ এবং অন্যান্য বাবদ দুই কোটি ১৬ লক্ষ ১৩ হাজার আটশত ৫৫ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে প্রাইভেট ব্যাংকে নিজস্ব হিসেবে জমা রাখার প্রমাণ পায়। এটিও এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির সুপারিশ করে কমিটি।

পিপিআর-২০০৮ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রাক্কলন অনুমোদন না করা সত্ত্বেও অতিরিক্ত কাজের মূল্য বাবদ ৪৮ লাখ ৩৯ হাজার পাঁচশ ৮১ টাকা ঠিকাদারকে পরিশোধ মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।

চুক্তির শর্ত মোতাবেক অসমাপ্ত কাজের জন্য ঠিকাদারের নিকট হতে অবশিষ্ট কাজের অতিরিক্ত কাজের ব্যয়িত টাকার ২০ শতাংশ আদায় না করায় সরকারের ৫৭ লাখ ৭৯ হাজার দুইশ ৬৯ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়।

ওই সময়ে সরকারের বিধি উপেক্ষা করে বরাদ্দের অব্যয়িত সর্বমোট এক কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার চারশ ৭৭ টাকা সরকারি খাতে সমর্পণ না করায় বৈঠকে জানানো হয়।

কার্য সম্পাদনে অনীহা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে পাঁচ বছরেও কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় চুক্তিপত্র বাতিলসহ ঠিকাদারের পারফরমেন্স সিকিউরিটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার বাজেয়াপ্ত না করায় আর্থিক ক্ষতি এবং জনগণ স্বাস্থ্যসেবা হতে বঞ্চিত হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে এসব অডিট আপত্তি দূর করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সিঅ্যান্ডএজি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অডিট অফিস এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।