মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ‘সংশয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০১৮

নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ‘পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম’। সংস্থাটি এ প্রকল্পের বিভিন্ন দিকের অগ্রগতি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করারও আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া। সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেয়া হয়।

সংগঠনের সভাপতি ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মু. সিকান্দার খান বলেন, ‘চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাদের যে পরিকল্পনা তা নিয়ে কিছু বলছি না। কিন্তু পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা জানতে চাচ্ছি। জলাবদ্ধতা নিরসনের এ মেগা প্রকল্পের বিষয়ে সাধারণ মানুষ কিছুই জানেন না। জনগণকে অবশ্যই বিস্তারিত জানাতে হবে।’

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে তার রক্ষণাবেক্ষণ কীভাবে হবে- তা নিশ্চিতের উপরও জোর দেন ফোরাম সভাপতি। বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকতে হবে।’

পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘মেগা প্রজেক্ট মেঘাচ্ছন্ন অবস্থায় আছে। আমরা এ প্রজেক্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন। কোন কাজটা আগে হবে, সেটা আমাদের জানাতে হবে। এ প্রকল্পে শুভঙ্করের কোনো ফাঁকি আছে কি না- সেটাও জানাতে হবে। কোন খাতে কত ব্যয় হচ্ছে, সেটা জনগণকে জানাতে হবে।’

ctg

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি জেরিনা হোসাইন বলেন, ‘আমরা প্রকল্পের বিরোধিতা করছি না। সেটার প্রশ্নই আসে না। আমরা শুধু, এই যে হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প, সেটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটা জানতে চাই। প্রকল্পের কারিগরি, প্রাতিষ্ঠানিক- সব বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানতে চাই। টেকনিক্যাল যে প্রসেসটা আছে, সেটা আমরা পুরোপুরি জানতে চাই। কারণ না জানলে ভুল কোথায় আছে কিংবা গ্যাপ কোথাও আছে কি না- সেটা না জানলে তো আমরা সহযোগিতা করতে পারব না।’

আগামী তিন বছরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, ‘তিন বছরের মধ্যে বিশাল এ প্রকল্প শেষ হবে কি না- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া এ প্রকল্প থেকে দীর্ঘমেয়াদের কোনো সুফল পাওয়া যাবে কি না- তা নিয়েও ভাবতে হবে। তিন বছর পর এর ধারাবাহিকতা কে রক্ষা করবে? ইতোমধ্যে সিডিএ ও সিটি করপোরেশন দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছে।’

‘সিডিএ কাজ শেষের পর সিটি করপোরেশন যদি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব না নেয়, তাহলে কী হবে? আমরা এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চাই’- যোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শামসুল হোছাইন, নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার ও শাহরিয়ার খালেদ প্রমুখ।

আবু আজাদ/এমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।