ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের ২০ কেজি করে চাল দেবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০১৮
ছবি-ফাইল

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) আওতায় বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, অতিদরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ২০ কেজি করে চাল দেবে সরকার।

এজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে জেলা প্রশাসকদের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দেশে আগামী ২১ বা ২২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।

এ উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৪৯২টি উপজেলায় এবং ক, খ ও গ ক্যাটাগরির ৩২৮টি পৌরসভার অতিদরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এজন্য উপজেলায় এক লাখ ৭৬ হাজার টন এবং পৌরসভার জন্য ২৪ হাজার ৩০৬ টন ৮৮০ কেজিসহ মোট ২ লাখ ৩০৬ টন ৮৮০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংসদ সদস্যকে আবহিত করবেন।

বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আদমশুমারি ২০১১ এর জনসংখ্যা অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনঃবিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দুস্থ, অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে। তবে সাম্প্রতিক বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

১২টি শর্ত দিয়ে এর চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ বলে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- যাদের ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিন মজুরের আয়ের উপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণ বয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো সম্পদ নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যাক্তা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষু্দ্র ঋণ পায়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সঙ্কটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না।

তালিকা এমনভাবে করতে হবে যাতে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি যেন ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ না পায়। বরাদ্দ করা খাদ্যশস্য আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে উত্তোলন করতে হবে বলেও বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭০ শতাং মহিলাকে অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট জেলা পুনর্বাসন কর্মকর্তা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা দায়ভার বহন করবেন।

আরএমএম/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।