রাজধানীরই সড়ক এটি!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫৯ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৮

প্রথমে দেখে মনে হতে পারে অন্য কোনো জেলার অনুন্নত এলাকার কোনো সড়ক এটি। রাস্তার পাথর আর পিচ উঠে গেছে অনেক আগেই। এখন ভেতরের ইট আর ইটের খোয়া দেখা যাচ্ছে। পুরো রাস্তা অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। কদিনের টানা বৃষ্টিতে এখনও জলাবদ্ধ হয়ে আছে সড়কের খানাখন্দগুলো। সব মিলিয়ে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী রাস্তাটি।

dhaka

এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো রাস্তা নয়, রাজধানীরই সড়ক। রাজধানীর বৃহত্তর মিরপুর এলাকার সিংহভাগ মানুষকেই প্রতিদিন বেহাল দশার আর চলাচলের অনুপযোগী এই রাস্তা দিয়েই বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয়। এটি কাজীপাড়ার রাস্তা। একদিকে চলছে মেট্রো রেলের কাজ। যে কারণে মিরপুর ১২ নন্বর থেকে কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া হয়ে আগারগাঁও পরের অংশ পর্যন্ত সড়কের মাঝখান ঘিরে রেখে কাজ চলছে। ফলে দুই দিকের সরু রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে অসংখ্য যানবাহন, যে কারণে যানজট এখানকার নিত্যদিনের দৃশ্য।

dhaka

একদিকে মেট্রো রেলের কাজ, অন্যদিকে কয়েকদিনে বৃষ্টিতে সড়কে সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দে এই সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই তো জলাবদ্ধতা! ফলে এই পথে চলাচলকারীদের প্রতিদিনই পোহাতে হয় সীমাহীন ভোগান্তি। পানিতে একাকার এই সড়কে বাস, সিএনজি, রিকশা, প্রাইভেটকার চলাচল করতে গিয়ে প্রায় আটকে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। এ যানজটের দীর্ঘ সারি ১০ নম্বর গোল চক্কর পেরিয়ে যায়।

dhaka

মিরপুর থেকে ফার্মগেট, গুলিস্তান হয়ে চলাচলকারী বিহঙ্গ বাসের চালক আব্দুল মালেক জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাস্তাটি এমনিতেই সরু। তারপর একদিকে মেট্রোরেলের কাজ চলায় রাস্তার মাঝখানে ঘিরে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে পুরো সড়ক খানাখন্দে ভরা। রাস্তার এ বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনগুলো ধীর গতিতে চালাতে হয়। আর এ কারণেই সৃষ্টি হয় যানজট।’

dhaka

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচলাকারী বেসরকারি চাকরিজীবী এমদাদুল হক বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই এই সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অসংখ্য গর্ত ও জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তির শেষ থাকে না। অথচ এটি জনবহুল মিরপুর এলাকার সবচেয়ে ব্যস্ত রাস্তা। সংশ্লিষ্টদের উচিত দ্রুত এই সড়ক মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করা।‘

dhaka

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘সেখানে মেট্রো রেলের কাজ চলছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে, তাদেরকে আমরা তাগাদাও দিয়েছি।

dhaka

বিগত কিছুদিনের অতি বর্ষণের কারণে রাস্তাটা নষ্ট হয়েছে। তারা দ্রুত এটি ঠিক করে দেবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।’

এএস/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।