শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা আত্মঘাতী : সুজন
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা আত্মঘাতী বলে মনে করছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতিতে পরিবহন খাতে সব নৈরাজ্যের অবসান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জোর দাবি জানায় সুজন।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন বাংলাদেশ, এমনকি বিশ্বের ইতিহাসেও এক অভূতপূর্ব ঘটনা। বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু নিয়ে নৌমন্ত্রীর দায়িত্বহীন মন্তব্য এবং সড়কে নৈরাজ্য অবসানে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয়ই দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে এ আন্দোলনে। আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন সরকারের জন্য একটি শক্তিশালী সতর্কবার্তা।
‘আন্দোলন ও জনবিক্ষোভ প্রবণতা থেকে এটি সুস্পষ্ট যে, জনমনে একটি সাধারণ বিক্ষুব্ধতা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। যা বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিস্ফোরিত হচ্ছে এবং বিক্ষোভের রেশ প্রলম্বিত হচ্ছে। সরকারের ক্রমশ কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে ওঠা, বিরুদ্ধমত ও মুক্তচিন্তা দমন, গণতান্ত্রিক পরিসর সংকোচন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা বিনষ্ট হওয়া তথা সার্বিক অর্থে গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের অভাবই জনমনে আস্থার সংকট ঘনীভূত করেছে। যার বিস্ফোরণ ঘটছে নানাভাবে।
সুজনের পক্ষে বলা হয়, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক শক্তিসমূহের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতেই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে এবং গত কয়েক দিনে রাজপথে তারা অভূতপূর্ব জনশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের এ ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে সব মহলেরই শিক্ষা নেয়া জরুরি।
সরকারের উদ্দেশ্য সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ আন্দোলন মোকাবেলায় শক্তিপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত সরকারের প্রাজ্ঞতার পরিচায়ক। কিন্তু উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর সরকার দলীয় সংগঠন ও পুলিশ হামলা করেছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। একই সঙ্গে সতর্ক করতে চাই যে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নিপীড়নের ঘটনা সরকারের জন্য আত্মঘাতী হয়েই দেখা দেবে।
এএসএস/এএইচ