‘এলোপাতাড়ি গাড়িগুলো এখন সারিবদ্ধ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৫ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৮

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এলোপাতাড়ি গাড়িগুলো এখন সারিবদ্ধভাবে চলছে। বিশৃংখলাও দেখা যায়নি প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য গাড়িতে। এ সম্পর্কিত ছবিগুলো ফেসবুকে শেয়ার করে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘দাবি আদায়ে কাজ চলছে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দল দলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্স চেক করতে থাকে। এ সময় যেসব চালকের কাছে লাইসেন্স পাওয়া গেছে, তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর যাদের নেই তাদের জরিমানা করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেনি।

শিক্ষার্থীদের রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। ফেসবুকে শেয়ার করে তুমুল প্রশংসা করেছেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘দক্ষ ট্রাফিক পুলিশ’।

মো. হারুণ আল রসিদ লিখেছেন, ‘আমার বয়সে প্রথম দেখলাম ৪৭ বছর বয়সী দেশের বাঁকা রাস্তা কেমনে সোজা হয়... মন্ত্রী সোজা, এমপি সোজা, শ্রমিক, পুলিশ, সাংবাদিক সব সোজা।’

পুলিশের গাড়িগুলোয় লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে চালকদের নির্দেশ দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)।

লাইসেন্সবিহীন চালকের গাড়ি আটকে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় থেকে এমন নির্দেশ দেয়া হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবর রহমানের গাড়ি আটকে দেয় বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে। শিক্ষার্থীরা গাড়ি আটকে চালকের লাইসেন্স দেখতে চায়। দেখা যায়, লাইসেন্সটি মেয়াদোত্তীর্ণ।

এরপর সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট জাফর ইমাম লাইসেন্স নবায়ন না করায় একটি মামলা করেন। জাফর ইমাম জানান, গাড়িটি ছিল প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবর রহমানের। যদিও গাড়িতে নজিবুর রহমান ছিলেন না।

অন্যদিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া সংসদে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে ও বের হতে পারেননি এমপি-মন্ত্রীরাও। এক পৌর মেয়রকেও আটকে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে করা হয়েছে মামলা। অবস্থা বেগতিক দেখে সংসদ থেকে বের হয়ে আবারও তাড়াতাড়ি ঘুরিয়ে সংসদে প্রবেশ করেছে গাড়ি।

আবার কেউ কেউ ফেসবুকে লিখেছেন, অনেক হয়েছে। এখন থামা উচিত। নগরবাসী বিরক্ত হচ্ছে।

২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালকের রেষারেষির ফলে একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী।

নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।

এমএ/এমইউএস/এমআরএম/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।