ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গলার কাঁটা ১২ হজ এজেন্সি
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৫০ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৮
চলতি বছর হজ কার্যক্রমে অংশ নেয়া ১২টি এজেন্সিকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও এসব এজেন্সি তাদের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বিমান টিকিটের জন্য পে-অর্ডার ইস্যু করেনি কিংবা ভিসা সংগ্রহের জন্য মোফা সেন্ট করেনি।
সূত্র জানায়, ৩১ আগস্ট সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে তাদের ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়। কিন্তু মালিক বা তার প্রতিনিধি কেউ উপস্থিত হননি। এই ১২ হজ এজেন্সির মালিকরা জাতীয় ওমরাহ ও হজ নীতিমালার পরিপন্থী কাজ করেছেন।
এমতাবস্থায় কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) এস এম মনিরুজ্জামান এই নোটিশ জারি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, এই ১২টি হজ এজেন্সি এখন তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কারণে এ বছর দুই সহস্রাধিক হজযাত্রীর হজে গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
১২ হজ এজেন্সি হলো- মুনমুন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নম্বর ২০৬), চারুলতা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নম্বর- ৭১৬), ক্রাউন ফ্যাসিলিটিজ (হজ লাইসেন্স নম্বর- ৭২৪), ডিন ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল (হজ লাইসেন্স নম্বর ৭৪১), জে ওয়াই ওভারসিজ অ্যান্ড হজ কাফেলা (হজ লাইসেন্স নম্বর- ৮৪৬), মিনার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নম্বর- ১০৩৩), মোকাররম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নম্বর ১০৪৫), এন আল আমিন হজ কাফেলা (হজ লাইসেন্স নম্বর- ১০৬৬), রেঞ্জার ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নম্বর- ১১১৬), সাফোনি (হজ লাইসেন্স নম্বর ১১৪৭) ও সাগর এভিয়েশন ((হজ লাইসেন্স নম্বর- ১১৪৯)।
এমইউ/জেডএ/এমএস