পরিবহন খাতের ‘শৃঙ্খলা আইন’ সোমবার উঠছে মন্ত্রিসভায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৮
ছবি-ফাইল

পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নতুন আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। নতুন এ ‘শৃঙ্খলা আইন ’মন্ত্রিসভায় সোমবার উঠছে বলে জানা গেছে। 

এ আইনে চালকদের লাইসেন্স, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য শাস্তি, ফিটনেসবিহীন গাড়িসহ নানা নিয়মনীতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে আইনমন্ত্রী নতুন এ আইন সম্পর্কে জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক জানান, আইনের খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং করে (সংবিধান বা চলমান কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি-না যাচাই-বাছাই করে) আজ সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে থেকে আইনটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী চান আগামী সোমবারেই এ আইনটা মন্ত্রিসভায় উঠুক।

এ ধরনের ঘটনা যেনো আর না ঘটে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকার যা যা উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন তাই করবে।

‘সেগুলোর ব্যাপারে প্রভিশন রাখা হয়েছে কি-না তাছাড়া সেগুলো যাতে না ঘটে সে রকম পর্যাপ্ত প্রভিশন এ আইনে আছে কি-না। একই সঙ্গে এসব ক্ষেত্রে আইনে কোনো ফাঁকফোকর আছে কি-না দেখা হচ্ছে।'

তিনি বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলতে চাই এ আইনটা একটা আধুনিক আইন। এ আইনে অনেক বিষয় আছে যেগুলো কখনো আমাদের আগের আইনে ছিল না। যেমন বিদেশে চালকের যদি ভুল হয় তাহলে তাদের পয়েন্ট কাটা যায়। আমাদের নতুন আইনেও পয়েন্ট কাটার বিধান রাখা হয়েছে। যদি কোনো ড্রাইভারের ১২ পয়েন্ট কাটা যায় তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। তিন পয়েন্ট কাটলে কী হবে এ রকম একটা বিধান করে দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রি বলেন, শাস্তির ব্যাপারে আমাদের দেখতে হয় যেনো বেশি অপরাধে অল্প শাস্তি না হয়। আবার অল্প অপরাধে বেশি শাস্তিও না হয়। এ বিষয়গুলো দেখতে হয়। সেগুলোও সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। তরিৎ বিচারের বিষয়টাও এ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

‘এখন কেউ যদি মনে করেন যে মানুষ মেরে তার কম শাস্তি পেয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে এটাতো হয় না। আবার এটাও ঠিক যে এক জনের ভুলের জন্য সবাইকে দায়ী করা যাবে না। যে ভুল করেছে তার বিচার করা উচিত। কিন্তু সম্প্রদায়কে দায়ী করা ঠিক হবে না। সেগুলো বিচার-বিবেচনা করে আমার মনে হয়েছে এ আইনটি যথোপযোগী। সেজন্যই সবকিছু দেখে আমি আইনটি আজকে ছেড়ে দিয়েছি।’

সর্বোচ্চ শাস্তির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক শাস্তি রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি এখন সবগুলো বলতে পারবো না। কারণ আইনটা অনেক বড়। তবে এটা বলতে পারি যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে যে শাস্তি রাখা হয়েছে সেটা পর্যাপ্ত।

তিনি বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনা ব্যাপার যেসব বিষয়গুলো রাখা উচিত। এ আইনে সেসব জিনিসগুলো রাখা হয়েছে। আমি মনে করি রমিজ উদ্দীন হাই স্কুলের যে দু'জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। তাদের বিচার যেমন তরিৎ হওয়া উচিত তেমনি এ রকম দুর্ঘটনার সব বিচার দ্রুত হওয়া উচিত।

যারা দোষী তাদেরকেই শাস্তি দেয়া উচিত। যেই মুহূর্তে এই মামলা তদন্ত শেষে আদালতে গড়াতে আমি প্রসিকিউশনকে বলে এটার তরিৎ বিচারের ব্যবস্থা করবো।

এমইউএইচ/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।