মানসিক বিকাশে মায়ের দুধের বিকল্প নেই : রাষ্ট্রপতি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ০১ আগস্ট ২০১৮

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। 'বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই।

মাতৃদুগ্ধপানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মায়ের দুধই শিশুর প্রধান খাদ্য। শিশু খাদ্যের প্রাকৃতিক ও অত্যন্ত নিরাপদ উৎস মায়ের দুধ। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৮ এর মূল প্রতিপাদ্য ‘মায়ের দুধ পান : সুস্থ জীবনের বুনিয়াদ’ যথার্থ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, শিশুর পুষ্টি এবং শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান মায়ের দুধে বিদ্যমান। বিশেষজ্ঞদের মতে- পূর্ণ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ শিশুর পরিপূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করে। জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ দিলে ৩১ শতাংশ নবজাতকের মৃত্যু রোধ, ১৩ শতাংশ শিশুমৃত্যু এবং ৬ মাস বয়সের পর মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি, বাড়তি খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে ৬ শতাংশ শিশুমৃত্যু কমানো সম্ভব। সমাজ ও রাষ্ট্রের টেকসই উন্নয়ন ও সুস্থ সবল জাতি গঠনে মায়ের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার পাশাপাশি সন্তানকে স্তন্যদানে মায়েদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন।

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকল্প শিশুখাদ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কর্মজীবী মায়েদের সন্তানকে স্তন্যদানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি কর্মস্থল ও গণপরিবহণে মায়েদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।

তিনি কর্মজীবী মায়েদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা বিধানে সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এফএইচএস/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।