মশা মারতে বরাদ্দ ২১ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৮

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব ও উন্নয়নসহ মোট ২ হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার নগরভবনে ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র ওসমান গণি এ বাজেট ঘোষণা করেন।

এ বাজেটের রাজস্ব ব্যয়সহ অন্যান্য উন্নয়ন ব্যয় অংশের হিসাবে দেখা গেছে, অন্যান্য খাতের পাশাপাশি মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে (মনিটরিং-সার্ভাইলেন্স) ব্যয় হবে ২১ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরে ( ২০১৭-১৮) ছিল ২০ কোটি, তবে তা সংশোধিত বাজেটে ছিল ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যদিও গত বছর নগরবাসীর আলোচনায় ছিল চিকুনগুনিয়ার উপদ্রব আর মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। সেই অর্থবছরে মশা তাড়াতে ডিএনসিসির খরচ করে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবারের বাজেটে এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা।

হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্যে মশকনিধন ওষুধ কিনতে খরচ হয় ১৫ কোটি টাকা, ফগার, হুইল,স্প্রেমেশিন পরিবহনে ২ কোটি, কচুরিপানা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যা করতে খরচ হয় ৫০ লাখ টাকা।

এদিকে চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকার মধ্যে মশকনিধন ওষুধ কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা, ফগার, হুইল,স্প্রেমেশিন পরিবহনে ২ কোটি, কচুরিপানা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যা করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা।

সোমবার ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র ওসমান গণি জানান, এ অর্থবছরে নিজস্ব উৎস থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। সরকারি উন্নয়ন অনুদান হিসাবে ২০০ কোটি টাকা এবং সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চলতি বছরের বাজেটে উন্নয়ন খাতে সর্বমোট ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ। ডিএনসিসি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল, যার সংশোধিত আকার হলো ১ হাজার ৬৭৮ কোটি ২১ লাখ টাকা।

এবারের বাজেটে রাজস্ব খাতে আয়ের বড় অংশ ধরা হয়েছে। রাজস্ব খাত থেকে ৮৫৭ কোটি ২০ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্য নির্ধাকর করা হয়েছে।এর মধ্যে কর (হোল্ডিং, পরিচ্ছন্ন, লাইটিং) থেকে ৪০০ কোটি টাকা, বাজার সালামি থেকে ৫০ কোটি, সম্পত্তি হস্তান্তর কর থেকে ২০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ডিএনসিসি।

২০১৮-১৯ বাজেটে বেতন, পারিশ্রমিক ভাতা খাতে ব্যয় সবচেয়ে বেশি রেখেছে ডিএনসিসি। এই খাতে ব্যয় রাখা হয়েছে ১৭৫ কোটি টাকা।বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও পানি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করবে সংস্থাটি।

বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী মেসবাহুল ইসলামসহ অন্যান্য বিভাগের প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএস/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।