রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি অর্থমন্ত্রীকে কষ্ট দেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০১ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৮

বৃষ্টির সময় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির সময় নয় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এ সময় রাস্তা কাটা দেখলে আমার খুব কষ্ট লাগে।

সোমবার সচিবালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) পদে সদ্য নিয়োগ পাওয়া সাবেক অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরীকে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, অর্থ বিভাগে ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা দুর্বলতা বলতে হবে যে আমরা বছরের প্রথম দিকে টাকা-পয়সা খরচ করতে পারি না। এবার দেখছি জুলাইয়ে অনেক রাস্তা কাটা হচ্ছে। আমার খুব খারাপ লাগে বৃষ্টির সময় রাস্তা কাটে। রাস্তা কাটার সময় এটা না। সামান্য কিছুদিন অপেক্ষা করলেই হতো। জুলাই শেষ হয়ে যাচ্ছে, আগস্ট মাস শেষ হয়ে গেলেই বৃষ্টি আর থাকতো না।

তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম অর্থ বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা খরচ করার জন্য ১ জুলাই থেকেই প্রত্যেকটি প্রকল্পে তিন কিস্তিতে টাকা ছাড় কারার সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে বছরের শুরুতে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে এবার এটা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, কিছু কিছু হচ্ছে। এক যদি আমরা পুরোপরি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ পারফর্ম হবে।’

অর্থবছরের প্রথম অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ ছাড়ের সুযোগ তৈরি করাকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে এর জন্য সাবেক অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান মুহিত।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্টগুলো নির্দিষ্ট সময়ে জমা দেয়ার জন্য হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) পদে সদ্য নিয়োগ পাওয়া সাবেক অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরীর প্রতি আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুসলিম চৌধুরীর প্রশংসা করে মুহিত বলেন, ফাইন্যানশিয়াল সংস্কারে তিনি নানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

মুসলিম চৌধুরী বলেন, আমার যদি কোনো আউটকাম থাকে তাহলে সবার সহযোগিতায় হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর মোটিভেশন ও গাইড এবং প্রতিমন্ত্রী ও আমাদের টিম নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের টিমের কারণেই বিভিন্ন সংস্কার সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সকল সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই।

আগামীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বেশিরভাগ সেবা বা সার্ভিস সয়ংক্রিয়ভাবে হবে। কোনো ম্যানুয়াল চেক থাকবে না বলেও জানান সাবেক এই অর্থ সচিব।

নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের পদে থাকলেও আইডেনটিটি ক্রাইসিস রয়েছে জানিয়ে হাস্যরস করে মুসলিম চৌধুরী বলেন, একটি বিয়ের দাওয়াতে একজন পরিচয় করিয়ে দিলেন স্যার একবার বলছে চিফ এডিটর, একবার চিফ অ্যাকাউন্টে, সে আমাকে সম্মান করতে চাচ্ছে বা যাকে বলছে সেও সম্মান দিচ্ছে তবে শেষ পর্যন্ত বলেছে সাবেক অর্থ সচিব। ব্র্যান্ডিং প্রবলেম দেখা দেয়ায় প্রাক্তন অর্থসচিব বলে পরিচয় দিতে হচ্ছে। ব্র্যান্ডিং প্রবেলেম আছে, এটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

এমইউএইচ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।