ব্যাংক লুটপাটকারীদের শাস্তি নেই অথচ কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৮

১ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৫ জন কৃষকের নামে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার ও ঋণ মওকুফের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি। এসব সার্টিফিকেট মামলার জালে কৃষকরা দিশেহারা জানিয়ে দলটি বলেছে, সরকারের যোগসাজসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্নীতিবাজরা। তাদের কাছ থেকে এসব টাকা আদায়ের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। লুটপাটকারীদের শাস্তির কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না অথচ কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে।

শনিবার সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৫ জন কৃষকের নামে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার ও ঋণ মওকুফের দাবিতে গণজমায়েতে এসব কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, ‘প্রতি বছর সারাদেশে আগাম বৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষকরা ব্যাপকভাবে কৃষিপণ্য নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তারা যথা সময় পরিশোধ করতে পারেনি।’

তারা বলেন, ‘১৯৯১ সাল থেকে সরকার সারাদেশে কৃষকদের নামে সার্টিফিকেট মামলা করছে। যে কৃষক সারাদেশে সকল জনগণের জন্য অন্ন জোগাড় করে, সরকার সেই কৃষকের নামে এতগুলো মামলা করেছে। কৃষকরা এখন মামলার জালে দিশেহারা হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব মামলার বিপরীতে কৃষকদের কাছে সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পাওনা ৫১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।’

এ সময় বক্তারা কৃষকদের সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার ও ঋণ মওকুফ করার দাবি জানান।

দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কমরেড আলী হোসেন, বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ মাস্টার), জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, স্বাধীনতা পার্টির মহানগর নেতা সাংবাদিক হুমায়ুন মজিদ, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আবদুল হক ঘারামী, উন্নয়ন সমন্বয়ক ও সংগঠক মাহবুবুর রহমান খোকনসহ আয়োজক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

এইচএস/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।