ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি করলে ইতিহাস ক্ষমা করে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যক্তিস্বার্থে নয়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। রাজনীতি ব্যক্তিস্বার্থে হলে, সে রাজনীতি দেশকে কিছু দিতে পারে না। ব্যক্তিস্বার্থে যারা রাজনীতি করে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না।
শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীরা গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি একথা বলেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগকে তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। পরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবনে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের টানা প্রায় ১০ বছরের শাসনামলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামাতের ওপর মানুষের আস্থা-বিশ্বাস নেই, এটা আজকে প্রমাণিতও। দুর্নীতি, মানি-লন্ডারিং- এটা তো বাংলাদেশে বলা লাগে না, সুদূর আমেরিকাতেও প্রমাণিত।
শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলেও কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে কলেজছাত্রী কেউ রক্ষা পায়নি। তাই বিএনপি-জামায়াতের ওপর দেশের মানুষের আস্থা নেই, তা আজ প্রমাণিত।
খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা মেরে খেয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে গেছে। এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই। আমরা তো তাকে গ্রেফতার করিনি। বিষয়টি একেবারেই কোর্টের এবং এ ব্যাপারটি কোর্টেই সমাধান হবে।
এফএইচএস/জেডএ/পিআর