গ্যাসের দাম না বাড়ানোর আহ্বান ক্যাবের
জ্বালানি খাতে দুর্নীতি ও অপচয় হচ্ছে। মাইলের পর মাইল অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এসব বন্ধ না করে গ্যাসের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক বলে জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বুধবার (২৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত 'গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির অযৌক্তিক প্রস্তাব ও বাস্তবতা' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব নেতারা এ কথা বলেন।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সিসটেম লসের কবলে পড়েছে বিদ্যুৎ খাত। কিন্তু সিসটেম লস সমন্বয় করতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। গ্যাসের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি জনগণ মেনে নেবে না।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির আগে অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে গোলাম রহমান বলেন, গণশুনানির নামে গ্যাসের অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের কোনো ভিত্তি নেই। এলএনজি এখনও আসেনি, জানুয়ারির আগে আসবে না বলে শোনা যাচ্ছে। সেই পর্যন্ত যেন গ্যাসের দাম না বাড়ানো হয়।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, সিসটেম লস দেখিয়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি জনগণ মেনে নেবে না। দেড় লাখ টন ও চার হাজার টন কয়লার স্তুপের পার্থক্য যাদের চোখে পড়ে না, তারা কিভাবে দায়িত্বে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- ক্যাবের সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এলএনজি মিশ্রিত গ্যাসের মূল্য বাড়ানো নিয়ে ক্যাবের আপত্তি রয়েছে। মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব ও তার ওপর কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন গণশুনানিতে আসেনি। তাই এ শুনানির ভিত্তিতে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো নিয়ে ক্যাবের আপত্তি রয়েছে। সিসটেম লসের নামে তিতাসের মূল্য সমন্বয়ের নামে চার্জ বৃদ্ধিতেও সংগঠনটির আপত্তি আছে।
ক্যাবের প্রস্তাব ও সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- তিতাসের বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যবস্থার স্টাডি হতে হবে। গ্যাস খাতের শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করতে ব্যক্তিখাতে শেয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ এবং ব্যক্তিখাত থেকে শেয়ার সরকারি খাতে ফিরিয়ে আনতে হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে তিতাসকে ব্রেক ইভেনে পরিচালিত হতে হবে। গ্যাস সংকট থাকা পর্যন্ত ইক্যুইটি ভিত্তিক রেট অব রিটার্ন নিশ্চিত হতে হবে। গ্যাস খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন গ্যাস সংযোগ কমিটি রদ করতে হবে।
এমএ/এএইচ/জেআইএম