পাহাড় কাটা রোধ ও বন রক্ষায় ডিসিদের সহায়তা চাইলেন মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৮

পাহাড় ধস রোধ ও বন রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহায়তা চাইলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশনে মন্ত্রী এ সহায়তা চান।

অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, পাহাড় কাটা, বনের জমি লিজ নেয়া, বনভূমির অবৈধ দখল, নদী দখল, নদী দূষণ নিয়ে ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা কীভাবে এগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ডিসিরা কোনো সমস্যার কথা বলেছেন কিনা? -জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বলেছেন, যেমন কক্সবাজারের কথা বলেছেন, যেখানে বনের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। বনের প্রায় ৫ হাজার একরের মতো জমির ক্ষতি হয়েছে। সেটা আবার পুনরায় বনায়ন করার ব্যাপারে আমরা কী পদক্ষেপ নিচ্ছি, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বান্দরবানের পাহাড় ধস নিয়ে কথা হয়েছে। পাহাড় ধসে মারা যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে- গাছ কাটা, অবৈধ স্থাপনাগুলো। অন্যান্য জায়গায় পাহাড়গুলো পাথুরে থাকে কিন্তু আমাদের এখানে মূলত বালুমাটি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে না পারলে এ প্রবলেমটা থেকে যাবে।’

‘বর্ষার আরও দু’মাস আছে, এ ব্যাপারে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সেই বিষয়ে ডিসি সাহেবদের বলা হয়েছে’ বলেও জানান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম।

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে বনের ক্ষতির বিষয়ে ডিসিরা কী বলেছেন? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা আমাদের নেমে নিতে হবে। কারণ, আমরা তাদের এখানে আশ্রয় দিয়েছি। জ্বালানির অন্য কোনো বন্দোবস্ত করা না গেলে তারা গাছ কাটবেই। সিলিন্ডার দিলে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

পাহাড় ধস ও বনভূমি রক্ষায় ডিসিদের কী নির্দেশনা দিয়েছেন? জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘কাউকে এককভাবে দোষ দেয়া যায় না। অনেক মানুষ যাদের জমি নেই তারা ওখানে থাকে। অনেকে ওখানে থাকে। এদের উচ্ছেদ করা হয়, আবার গিয়ে থাকবে।’

তবে কী এর কোনো স্থায়ী সমাধান নেই? মন্ত্রী বলেন, ‘স্থায়ী সমাধান আছে। এভাবে চলবে না। ব্যবস্থা হচ্ছে, একবারে উচ্ছেদ করা, তাদের অন্য জায়গায় বাসস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। এগুলো করতে পারলে এটা বন্ধ হবে। তবে সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা দরকার, যেসব জায়গায় আমরা গাছ কেটে ফেলেছি, সেসব জায়গায় গাছে রোপন করা, তাহলে পাহাড় ধস বন্ধ হবে।’

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম কন্টিনিউয়াসলি চলছে। আবার তারা এসে বসছে। আমাদের যে অবস্থা এর মধ্যে আমাদের এগুলো ঠিক করে নিতে হবে।’

এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

আরএমএম/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।