যোগ্য অফিসারদের কাছে নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৮

আদর্শগতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সামরিক বাহিনীর জন্য অত্যন্ত মৌলিক এবং মুখ্য বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০১৮’-এ দেয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর অফিসারদের দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রেখে উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের ওপর আস্থাশীল হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব যেন ন্যস্ত হয় দেশপ্রেমিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের হাতে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সুসংহতকরণে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। যারা সুশিক্ষিত, কর্মক্ষম, সচেতন, বুদ্ধিমান এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রকে সুসংহতের জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারী এরূপ যোগ্য অফিসারদের কাছে নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে, সেনাবাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য টার্বুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কমপারেটিভ ইভালুয়েশন (টিআরএসিই)- এর মতো একটি আধুনিক পদ্ধতির প্রচলন করা হয়েছে। যা পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিকের তুলনামূলক মূল্যায়ন প্রকাশ করে।’

‘উপযুক্ত ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমেই যে কোনো বিজয় বা সাফল্য অর্জন সম্ভব’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে সব অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্বপ্রদানে সফল হয়েছেন পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদেরকে বিবেচনায় আনতে হবে। তাদের শিক্ষা, মনোভাব, সামাজিকতা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিরীক্ষা করেই পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে উন্নত পেশাগত মান ও যোগ্যতাসম্পন্ন অফিসারদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।’

পদোন্নতির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্যের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার সামর্থ আমাদের থাকতে হবে।’

ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে ন্যায়নীতির ভিত্তিতে সেনা কর্মকর্তাগণ ‘নির্বাচনী পর্ষদ ২০১৮’র মাধ্যমে উপযুক্ত নেতৃত্ব নির্বাচনে সর্বোতভাবে সফল হবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতারহোসেন ভূইয়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেলারেল মাহফুজুর রহমান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও মেজর জেনারেল পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এইউএ/এমএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।