ই-গভর্নমেন্ট সেবায় বাংলাদেশ এগিয়েছে : জাতিসংঘের প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৮

* ধারাবাহিক তিন বারের র‌্যাংকিংয়ে দেশের অগ্রগতি ৩৩ ধাপ
* দুই বছরে ১০ দাপ এগিয়েছে দেশ
* প্রতি দুই বছর পরপর হয় এই জরিপ

ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বের ১৯৩ টি দেশের মধ্যে ১১৫ তম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে শূন্য দশমিক ৪৭৬৩ পয়েন্ট পেয়ে বাংলাদেশ এই অবস্থান অর্জন করেছে।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলন কক্ষ আয়োজিত জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট জরিপ-২০১৮ তে বাংলাদেশের অবস্থানবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

মূল্যায়নে শূন্য দশমিক ৪৭৬৩ পয়েন্ট অর্জন করে বৈশ্বিক হিসাবে মধ্যম মানের দেশগুলোর মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এতে তিনটি উপসূচকে বাংলাদেশ পেয়েছে যথাক্রমে অনলাইন সেবায় ০.৭৮৪৭ পয়েন্ট, টেলিকম অবকাঠামোতে ০.১৯৭৬ এবং মানবসম্পদে ০.৪৭৬৩ পয়েন্ট। প্রতি দুই বছর অন্তর প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৪তম। ফলে দুই বছরে ই-গভর্নমেন্ট সেবায় বাংলাদেশের ১০ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগান এবং রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ও সব ক্ষেত্রে জনগণের কষ্ট লাগব করতে এই সরকার বদ্ধপরিকর। সঙ্গেসঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরে এই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ধরে রাখতেও ই-গভর্নমেন্ট বা ডিজিটাল গভর্নমেন্ট তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

e-govt-2

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজরা বলেন, অনলাইন সার্ভিস সূচককে মাথায় নিয়ে আইসিটি টুলস ব্যবহার এবং জনগণের হাতের মুঠোয় সেবা পৌঁছে দেয়ার কাজ চলমান। ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ৩ বারের র‌্যাংকিংয়ে ৩৩ ধাপ এগোতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ধীরে ধীরে ই- গভর্নমেন্ট ডেভলপমেন্ট র‌্যাংকিংয়ে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের অবস্থানও সুসংহত হচ্ছে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ করতে ২০০১ সাল হতে একটি সার্ভে বা জরিপের মাধ্যেমে দেশগুলোর অবস্থান পরিমাপ করে আসছে জাতিসংঘ।

ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১৫ তম স্থান অর্জন বিষয়ে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি),বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ, এটুআই প্রকল্পের পলেসি এডভাইজিং শাখার অনির চৌধুরী প্রমুখ।

এএস/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।