গরু মোটাতাজাকরণ ড্রাগ যেন সরবরাহ না হয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৮

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যেসব অবৈধ ড্রাগ গরু মোটাতাজা করার জন্য ব্যবহৃত হয়, কিন্তু সেগুলো জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর, তা যেনো পশুর হাটে কিংবা অন্য কোথাও সরবরাহ করা না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রোববার সবিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় শোক দিবস পালন কর্মসূচি চূড়ান্তকরণ ও পবিত্র ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে গরুর মালিক কোরানির পশুকে মোটাতাজা করার জন্য অবৈধ ড্রাগ ব্যবহার করেন, যা জনস্বস্থের জন্য ক্ষতিকর। এসব ড্রাগের তালিকা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া হবে। এসব ড্রাগ যেনো কোনোভাবেই সরবরাহ করা না হয়, সে বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, এবার ঈদে ঢাকাতে আপাতত ২২টি গরুর হাট বাসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এটি বেড়ে ২৯টি হতে পারে। প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের ক্যাম্প থাকবে। সেই সঙ্গে র্যাবও থাকবে। প্রতিটি হাটেই সিসি ক্যামেরা থাকবে। আর সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করবে পুলিশ।

হাটে যেন কোনো ক্রেতা বা বিক্রেতা জাল টাকার খপ্পড়ে না পড়ে, সে জন্য প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তের মেশিন বসানো হবে।

স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়ক, রেললাইনের ওপরে এবং আবাসিক এলাকায় কোনো পশুর হাট বসবে না। এবার পশুর হাটের খাজনা মেইন গেটে টানিয়ে রাখতে হবে। কারও কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা যাবে না। গরুর হাটের সীমানার বাইরে কোনো হাট বসবে না। যানজট নিরসনে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।

‘পশুবাহী যানবাহন কোন হাটে যাবে সেটা ব্যানারে ট্রাকের সামনে টানিয়ে রাখতে হবে। তাহলে কেউ জোর করে গাড়ি থামিয়ে অন্য হাটে নিতে পারবে না’,- বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোনোভাবেই যেন চামড়া পাচার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

এমইউএইচ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।