ই-পাসপোর্টে প্রযুক্তি সহায়তা দেবে ফ্লোরা টেলিকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৮

দেশব্যাপী ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে বাংলাদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেড।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তালমিলিয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। প্রকল্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে জার্মান প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তথ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা খাতে প্রযুক্তি সহায়তা দেবে ফ্লোরা টেলিকম।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, ই-পাসপোর্টের মূল ডাটা সেন্টারের দায়িত্ব থাকবে ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনায়। শনিবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্যোগকালীন তথ্য ব্যবস্থাপনা, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রযুক্তির সমন্বয় করবে ফ্লোরার দক্ষকর্মী বাহিনী। দেশীয় অংশীদার হিসেবে পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনায় প্রাতিষ্ঠানিক এন্টারপ্রাইজ সার্ভার, স্টোরেজ এবং নিরাপত্তা সমাধান প্রদান করবে ফ্লোরা।

গত সপ্তাহে, জার্মান প্রতিষ্ঠান ভেরিডোসকে বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক ভিত্তিক পাসপোর্ট সেবা পরিচালনার জন্য ৩৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন টাকার কাজ অনুমোদন দেয় সরকার।

এ কাজের আওতায় ভেরিডোস বাংলাদেশকে ৩ কোটি ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরবরাহ করবে। পাশাপাশি আগামী ১০ বছর এই কার্যক্রমের দেখভালের দায়িত্বে থাকবে তারা।

এ ব্যাপারে ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমরা ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে আইটি সল্যুশন দিতে পেরে গর্ববোধ করছি। পাশাপাশি জার্মান প্রতিষ্ঠান ভেরিডোসের অভিজ্ঞতা এবং ফ্লোরার কর্ম শক্তির সমন্বয়ে প্রকল্পটি এগিয়ে যাবে। সমন্বিত অভিজ্ঞতা বাস্তবায়নে পাসপোর্ট অধিদফতরের এই সুদূরপ্রসারী প্রকল্প সফল হবে বলে আশা করেন রফিকুল।

সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে ই-পাসপোর্টের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি। ৪ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে পাসপোর্ট অধিদফতর।

আরএম/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।