পাঁচ সহস্রাধিক যাত্রী ‘উইল নট পারফর্ম’ হজ
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৩৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৮
বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে নাম নিবন্ধন চূড়ান্ত করিয়েছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবে যাত্রার আগেই শারীরিক গুরুতর অসুস্থতায় পড়েছেন কিংবা মৃত্যু হয়েছে। এমন পাঁচ হাজারেরও বেশি যাত্রী এবার হজে যেতে পারছেন না। যারা মারা গেছেন তাদের অাত্মীয়রা বিষয়টি ইতোমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে অসুস্থ ব্যক্তিদের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, তাদের হজে যাওয়ার ইচ্ছা পূরণে শারীরিক অক্ষমতার বাধার কথা।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ১৮ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, মৃত্যু বা অসুস্থতাজনিত কারণে নিবন্ধিত যে হজইচ্ছুকরা যেতে পারবেন না, তারা বা তাদের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (১৯ জুন সকাল ৮টা) জানাতে হবে। এ জন্য হজ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচএমআইএস) প্রোফাইলে গিয়ে ‘উইল নট পারফর্ম’ লিখতে হবে।
সে বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন এজেন্সিতে ‘উইল নট পারফর্ম’ লেখা পাঁচ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
এ ব্যাপারে হাব সভাপতি আবদুস ছোবহান ভূঁইয়ার সঙ্গে শুক্রবার দুপুরে যোগাযোগ করা হয়। মোট কত যাত্রী হজে যেতে পারবেন না বলে আবেদন করেছেন জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, তার কাছে সঠিক তথ্য নেই। তবে আনুমানিক পাঁচ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্টের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত পাননি জানিয়ে তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় কিছু একটা করার জন্যই কোন এজেন্সির কতজন হজযাত্রী এবার হজ করবেন না, এই হিসেব নিয়েছে।
তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতি হাব নেতাদের বিশ্বাস রয়েছে। এজেন্সিগুলো যেন আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য করে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করি।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাবের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, চলতি বছর মন্ত্রিসভায় হজ নীতিমালা পাস হয়। নীতিমালা অনুসারে প্রত্যেক এজেন্সি শতকরা চার ভাগের বেশি হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ পাবে না বলে উল্লেখ রয়েছে। ইতোমধ্যেই এজেন্সিগুলো নির্ধারিত শতকরা চার ভাগ হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট করেছে। নীতিমালার বাইরে কিছু করতে হলে মন্ত্রিসভায় নীতিমালা সংশোধন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে। হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট করার অনুমতির জন্য সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় হাজার ৭৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজারসহ মোট হজযাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষ পবিত্র হজ হবে ২০ আগস্ট।
এমইউ/জেডএ/পিআর