বিমানের শিডিউল বিপর্যয়, দুর্ভোগে যাত্রীরা
* ঢাকা-রিয়াদ রুটে ১৯ দিনের শিডিউল ফ্লাইট বাতিল
* হজের অযুহাতে নিয়মিত যাত্রীদের দুর্ভোগ কাম্য নয়
* আরও দশটি এয়ারলাইন্সকে হজফ্লাইট দিলে এমন হতো না
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রিয়াদ-ঢাকা ও ঢাকা-রিয়াদ রুটের ১৪ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত শিডিউল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিমান এটিকে সাময়িক ও চিরায়ত নিয়ম বললেও পরিস্থিতি জটিলতার দিকে যাবে বলে মনে করছেন এয়ারলাইন্স ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, হজের একচেটিয়া বাণিজ্যের নেশায় মজেছে বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স। অতি লোভের কারণে এয়ারলাইন্স দুটি একদিকে রিয়াদ রুটের সব যাত্রী টানছে। অন্যদিক বিমানের যাত্রীদের বাড়ছে দুর্দশা।
ফ্লাইট বাতিলে দুর্ভোগে পড়া যাত্রীরা বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বুকিং করা যাত্রীদের যাতায়াত এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী যাত্রী মকবুল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, রিয়াদ যেতে হজ ফ্লাইট শুরুর দুই সপ্তাহ আগে বুকিং করেছিলাম। বুকিংয়ের ১২ ঘণ্টার মধ্যে মতিঝিলের বিমান অফিসে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখি, চলতি মাসের রিয়াদগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে কোনো বিদেশি এয়ারলাইন্সে দোহা হয়ে রিয়াদে যাওয়ার টিকিট কাটি।
তিনি বলেন, কষ্ট হচ্ছে, কষ্ট দিচ্ছে বিমান। রাষ্ট্রের অহঙ্কার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে নিয়ে বিদেশে আমরা গর্ভ করি। আর সেই বিমান ব্যবসার জন্য হজের অযুহাতে নিয়মিত যাত্রীদের দুর্দশায় ফেলেছে।
এ বিষয়ে বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ধর্মীয় বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তাই অনেকে ভয়ে মুখ বন্ধ করে রাখেন। বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সকে একচেটিয়া হজযাত্রী পরিবহনের সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে জিম্মিদশা অবস্থা। এ কাজটি যদি আরও দশটি এয়ারলাইন্সকে দেয়া হতো। সবাই যদি ব্যবসার সুযোগ পেত, তাহলে যেমনটি সেবার মান বাড়ত তেমনি হজের ভাড়াও কমে যেত।
৫ জুলাই রিয়াদে বিমানের রিজিওনাল ম্যানেজার স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে সব এজেন্সি ও শাখাগুলোকে জানানো হয়, ১৪ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত রিয়াদ-ঢাকার ও ঢাকা-রিয়াদের বিমানের ফ্লাইটগুলো সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আগে থেকে টিকিট বুকিং করা যাত্রীরা দাম্মাম হয়ে ঢাকা ও দাম্মাম থেকে রিয়াদে যেতে পারবেন। এসব যাত্রীর সুবিধার জন্য দাম্মাম থেকে রিয়াদ ও রিয়াদ থেকে দাম্মাম যাতায়াতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সড়কপথে পরিবহন আর দূর-দূরান্তের যাত্রীদের জন্য হোটেলে থাকা-খাবারের ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া কোনো যাত্রী এই ব্যবস্থা না নিয়ে টিকিট বাতিল করতে চাইলে তাকে অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই টিকিট কেনার সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেয়া হবে।
আরএম/জেডএ/আরআইপি