সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধের দাবি
সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরমা। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলনে বর্বর হামলা ও ছাত্রী নিপীড়নের বিচারের দাবিও জানান তারা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়জিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ৪২৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৭ জনকে, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০৮ জন, নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪৪ জনকে। এই ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৮৫৬ জন শিশু, নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪৮ জন শিশুকে। নারী-শিশু নির্যাতন এত ভয়াবহ মাত্রায় আসার একটি অন্যতম কারণ বিচার না হওয়া। নির্যাতনের যত ঘটনা দেশে ঘটে তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে মামলা হয় না। মামলা যা হয় তার মধ্যে ৯৭ শতাংশ মামলায় কোনো সাজা হয় না। তাই নারী শিশু নির্যাতক, ধর্ষক, হত্যাকারীর শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
তারা আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি যৌক্তিক আন্দোলন। সেই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে ছাত্রীদের নীপিড়ন করা হয়েছে। রাজশাহীর এক শিক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পায়ের হাড় ভেঙে দেয়া হয়েছে।কার্যত আমরা দেখতে পাচ্ছি আন্দোলনকারীরা মার খাচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। অপরদিকে সন্ত্রাসীরা বহাল তবিয়তে আছে। অবিলম্বে এই হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা দারি জানান তারা।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সামসুন নাহার জোৎস্না, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলরুবা নূরী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মুক্তা বাড়ৈ, নারী নেত্রী জেসমিন আক্তার, রুখসানা আফরোজ আশা প্রমুখ।
এএস/এমবিআর/এমএস