সব জেলাতেই বিশ্ববিদ্যালয় হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৮
ফাইল ছবি

# তেজগাঁওয়ের জরাজীর্ণ খাদ্য গুদাম দেখে অবাক শেখ হাসিনা
# গবেষণার ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ
# বাণিজ্যমেলার স্থায়ী কেন্দ্র নির্মাণ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার নির্দেশ

দেশের যেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই, পর্যায়ক্রমে সেসব জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন। সভা শেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা সাংবাদিকদের জানান।

মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ বৈঠকে বলেছেন যে সমস্ত জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেসব জেলায় পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার ওপর জোর দেয়ার পরামর্শও দেন তিনি।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জানান, ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এই প্রকল্প অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সভায় দেশের খাদ্য গুদামগুলোর সংস্কার ও উন্নয়নে একটি প্রকল্প নেয়া হয়।

তেজগাঁওয়ের সরকারি খাদ্যগুদাম দেখে প্রধানমন্ত্রী অবাক হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, তেজগাঁওয়ের খাদ্য গুদামে ময়লা, ভাঙা, পানি পড়ে। দেশের প্রত্যেকটি সরকারি খাদ্যগুদামের অবকাঠামোও উন্নয়ন করারও পরামর্শ দেন তিনি।

একনেক সভায় ‘সারা দেশে পুরনো খাদ্য গুদাম ও আনুষাঙ্গিক সুবধাদির মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা; যার পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে হবে।

মান্নান এ বিষয়ে বলেন, আমরা খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা ধরে রাখতে হবে। আর এর জন্য আমাদের বিতরণ ও মজুত করার ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। আর এর জন্য এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সভায় চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয়।

এম এ মান্নান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,পূর্বাচলে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-চায়না ফেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ শেষ হলেই সেখানে বাণিজ্য মেলা হবে। এ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী দ্রুত শেষ করতে বলেছেন। প্রকল্পটির মেয়াদ যদিও ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রয়েছে, তবে ২০১৯ সালেই চীন সরকার এটা নির্মাণ করে দিতে চেয়েছে। সকল অবকাঠামো চীনে নির্মিত হবে শুধু পূর্বাচলে এগুলো ফিটিং করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সভায় ৬টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৯২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ২ হাজার ৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ২২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এমএ/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।