কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে মুক্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১০:২০ এএম, ০৫ আগস্ট ২০১৫

অর্থ আত্মসাত কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা তদন্ত শেষে মঙ্গলবার জানায়, নাজিব রাজাকের ব্যাক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বিপুল অঙ্কের যে অর্থ পাওয়া গেছে, তা দানের অর্থ। তবে দাতাদের নাম-পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

এছাড়া দাতারা এই অর্থ নাজিব রাজাকের ব্যাংক হিসাবে কেন জমা রেখেছেন সেটিও পরিষ্কার করা হয়নি। মঙ্গলবার দেশটির গণমাধ্যমসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ওয়ানএমডিবির তহবিল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাক্তিগত অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি ডলার স্থানান্তরের অভিযোগ ওঠে। দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে। এরপর নাজিব রাজাক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু সরকার বিরোধীরা তার পদত্যাগের দাবি তোলেন।

এর আগে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী হাজি মুহাইদ্দিন নাজিব রাজাকের সমালোচনা করায় তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বে থাকা অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল গনি প্যাটাইলকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালে নাজিব রাজাক ওয়ানএমডিবি প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার নাজিব রাজাকের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জানায়, সাত শ` মিলিয়ন ডলার অর্থ দাতারা প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক হিসেবে জমা করেছে। এর সঙ্গে ওয়ানএমডিবির কোনো সম্পর্ক নেই।
 
এদিকে দুর্নীতি তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলেছে দেশটির বিরোধীদলগুলো।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া ডেভেলপিং বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি কোম্পানি, উন্নত মালয়েশিয়া গড়তে কৌশলগত নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করে থাকে কোম্পানিটি। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে টেকসই বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ওয়ানএমডিবি কাজ করছে।

আহমাদুল কবির/এসআইএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।