মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দাবি মহেশখালীর ২ বীরাঙ্গনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ০৯ জুলাই ২০১৮

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বীরাঙ্গনা ননী বালা দে ও বীরাঙ্গনা চিনু রানী চক্রবর্তীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতির দাবি করা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহেশখালী উপজেলা কমান্ড।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধীর সন্তান মহেশখালীর পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে অনুপ্রবেশকারীদের উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ হতে বহিষ্কারের দাবি জানানো।

সংবাদ সম্মেলনে মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেন বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল হাসেম সিকদার, তার ভাই মৌলভী মোহাম্মদ জাকারিয়া, তার আত্মীয় মৌলভী অলি আহমদ ও পাকিস্তানি বাহিনী ৬ মে মহেশখালীতে অগণিত হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণ চালায়। এদের মধ্যে তিনজন স্বীকৃত বীরাঙ্গনা এখনো রয়েছেন। কিন্তু হাসেম সিকদারের ছেলে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া ক্ষমতাধর আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় এই বীরাঙ্গনারা হাজার চেষ্টা করেও আজ পর্যন্ত বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি পাননি, তাদেরকে বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মোহাম্মদ হাসেম সিকদারের ভাই মৌলবি মোহাম্মদ জাকারিয়া ও মৌলভী অলি আহমদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং পৌর মেয়রের দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ করাতে হবে। তা না হলে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বীরাঙ্গনা চিনু রানী চক্রবর্তী ও বীরাঙ্গনা ননী বালা দে এছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সুরক্ষা কমিটির সদস্য ও সাক্ষী বাবু রবীন্দ্র লাল দে উপস্থিত ছিলেন।

এআর/এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।