এমপিওভুক্তি সমস্যা সমাধানে শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৮

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সমস্যা সমাধানে তিনটি পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। আংশিক বেতন হলেও এই অর্থবছরেই এমপিওভুক্তির আওতায় বেতন-ভাতার দাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের।

গত ১০ জুন থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাতে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে আসা শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধি দল রোববার শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করে তিন প্রস্তাব পেশ করেন।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোকারম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দ্বিতীয় দফায় আন্দোলনের ২৯তম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। আমরণ অনশনের ১৪তম দিন চলছে। অথচ এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট কোনো রূপরেখা নেই।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ জুলাই বিকেলে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনের আমন্ত্রণে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে সচিব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আলোচনার আহ্বান জানালে প্রতিনিধি দল পূর্ববর্তী ২৭ বার আন্দোলনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, এর আগেও আমরা অনেকবার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি কিন্তু সেই আশ্বাসের কোনো বাস্তব প্রতিফলন ঘটেনি। তাই এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আলোচনার পাশাপাশি আন্দোলনও চলবে।

teacher2

মোকারম হোসেন বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে এমপিও নীতিমালায় আপত্তির প্রেক্ষিতে বিকল্প প্রস্তাব আহ্বান করায় সংগঠনের দুইজন প্রতিনিধি প্রস্তাবনা প্রেরণ করতে রোববার বিকেলে সচিবালয়ে যান। তারা হলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তারা তিনটি প্রস্তাবনা পেশ করেছেন।

প্রস্তাবনা তিনটি হচ্ছে-

১. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য একমাত্র নীতি হবে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি। যার মাধ্যমে অতীতে সারা দেশের ২৮ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ হাজার ২৪২টি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পূর্বের এমপিওভুক্তির নীতিতে এমপিওভুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী তার একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে পাঠিয়ে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আমাদের এমপিওভুক্তির দাবি মেনে নিয়েছেন।

২. বরাদ্দকৃত অর্থ অপর্যাপ্ত হলে বর্তমান অর্থবছরেই (২০১৮-২০১৯) সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর আওতায় এনে আংশিক বেতন চালু করা যেতে পারে। পরবর্তী অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) আংশিক বেতনের সমন্বয় সাধন করা।

৩. দীর্ঘ ১৫-২০ বছর এমপিওভুক্ত না হওয়ায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে এমপিওভুক্তির পর কমপক্ষে তিন বছর সময় প্রদান। এ সময়কালে সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ।

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ১০ জুন থেকে রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন।

জেইউ/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।