পারফর্ম অথবা অবসর
এমন অভিজ্ঞতা মাইকেল ক্লার্কের জীবনে খুব কমই ঘটেছে। অ্যাশেজের তিনটে টেস্টে একটিতেও রান নেই। তৃতীয় টেস্টের দুই ইনিংসে ক্লার্কের রান ১০ এবং ৩। এই সিরিজে এখন পর্যন্ত ছয় ইনিংসে তার মোট রান ৯৪। গড় ১৯-এরও নিচে। অস্ট্রেলিয়া এখন সিরিজে ২-১ পিছিয়ে। আর বর্তমান এই পরিস্থিতিতে ক্লার্ককে পারফর্ম করতে হবে অথবা অবসর নিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো মূলত এমনই।
সিডনি মর্নিং হেরল্ডের ক্রীড়া সম্পাদক অ্যান্ড্রূ ওয়েবস্টার বলেন, `ক্লার্কের সমস্যা এখন শুধু আর ওর ব্যাটিংয়ের খারাপ ফর্মে আটকে নেই। তা অনেকটাই ছড়িয়ে গিয়েছে৷ ব্র্যাড হ্যাডিন এবং শেন ওয়াটসনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে টপকে ক্লার্ককে অধিনায়ক করা নিয়ে এত দিন সে ভাবে প্রশ্ন না হলেও এবার খুব সরাসরিই সেই প্রশ্ন উঠছে।` সঙ্গে সংযোজন করে আরও বলেন, `তবে সব সমালোচনাই থেমে যাবে যদি উইলো হাতে সফল হন অস্ত্রেলিয়ান অধিনায়ক। সমস্যা হল, এই চাপে ও কতটা পারফর্ম করতে পারবে, তা জানি না। ও যে চাপে আছে, তা ওর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। হয়তো ক্লার্কের খেলোয়াড় জীবনের শুরু থেকে আমি ওকে দেখছি বলে এটা বুঝতে পারছি।`
খবরের আরেক প্যারায় জুড়ে দিয়েছেন, `প্রত্যেকটা বাজে আউটের পর ওর মুখভঙ্গি কারও নজর এড়াচ্ছে না। আউট হওয়ার পর ওকে ভীষণ অবাক লাগছে। ও বিরক্ত হচ্ছে না। হতাশ হয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে। ও বারবারই হেরে যাচ্ছে। এই ব্যর্থতা বারবার ফুটে উঠছে ওর চেহারায়।`
ব্যর্থতা গোপন করেননি স্বয়ং অধিনায়কও। নিজেই এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করে নিয়েছেন, `অস্ট্রেলিয়া ১০ জনে খেলছে।` এরপর `দ্য অস্ট্রেলিয়ান`-এর ক্রিকেট সাংবাদিক পিটার লালর বলছেন, `নটিংহ্যামে চতুর্থ টেস্ট শুরু হচ্ছে মোটের উপর এটা ধরে নিয়ে যে, ক্লার্কের খেলোয়াড় জীবনের শেষ টেস্ট ম্যাচ এটা। ও নিজে এই কথাটা সব থেকে ভালো ভাবে জানে। সাধ্যমতো চেষ্টাও করবে। সব বড় ক্রিকেটারের মতো ও নিশ্চয় চাইবে মাথা উঁচু করে খেলোয়াড় জীবন শেষ করতে। সেরা জায়গায় পৌঁছে, তবে খেলা ছাড়তে।` যোগ করে আরও বলেন, `ক্লার্ক যদি ফর্মে ফেরে, তবে অজিরাও বাকি দু`টো টেস্ট জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলতে পারে।`
এদিকে ক্লার্ককে বাদ দিলে তার জায়গায় আসতে পারেন উসমান খাঁজা।
আরটি/এমআর