ডা. জাফরুল্লাহর আদালত অবমাননার বিষয়ে জবাব ৯ আগস্ট


প্রকাশিত: ০৬:৩১ এএম, ০৫ আগস্ট ২০১৫

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আদালত অবমাননার অভিযোগে দেয়া কারণ দর্শানোর (শো’কজ) নোটিশের ব্যাখ্যার দিন পিছিয়ে আগামী ৯ আগস্ট পুনরায় দিন ধার্য করা হয়েছে।

সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আজ আদেশ দেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আদালত অবমাননা বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ট্রাইব্যুনালে তলব করে গত ১২ জুলাই আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

গত ২২ জুলাই বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ধার্য ছিল। ২২ জুলাই সময় আবেদন করায় আজ ০৫ আগস্ট দিন ঠিক করা হয়। সে অনুযায়ি ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য আজও সময়ের আবেদন জানান তিনি।  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা সময় আবেদন করেন।

তিনি বলেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার অসুস্থ তাই সময় আবেদন করছি। আদালত তার সময় আবেদন গ্রহণ করে ব্যাখ্যা দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন। মামলার শুনানিতে আদালতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

ট্রাইব্যুনাল-২ বিষয়ে নানা মন্তব্য করায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ৬ জুলাই আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার আবেদন দাখিল করেন তিন মুক্তিযোদ্ধা ও গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ।

আবেদন দাখিলকারীগন হলেন- স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আলী আসগর, মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী ও কর্মী এফ এম শাহীন। তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আবেদনটি দাখিল করেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামিম আজিজ।

আবেদনের ওপর শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামিম আজিজ ও আবেদনকারী মনোরঞ্জন ঘোষাল। শুনানিতে মনোরঞ্জন ঘোষাল তিনজন বিচারপতি ও বিচারালয় সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যেসব মন্তব্য করেছেন, তা আদালত অবমাননা বলে দাবী করে বলেন, তার মন্তব্য আদালতের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হলো। ব্রিটিশ নাগরিক ও বাংলাদেশে নিউ এজ পত্রিকার সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে দেয়া ট্রাইব্যুনালের সাজার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেয়ায় গত ১০ জুন আদালত অবমাননার দায়ে তাকে এক ঘণ্টার কারাদন্ড (ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা) এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের কারাদন্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল-২।

আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার দন্ড ভোগ করলেও জরিমানা দেবেন না জানিয়ে আদালতের ভেতরে-বাইরে নানাভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। এক ঘণ্টা সাজা ভোগ করে বাইরে বের হয়ে আদালত অবমাননার রায়কে তিনজন বিচারকের মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আবেদনে তাকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ গত ১৬ জুন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়া আবেদনটি।

এছাড়াও বেসরকারি টিভি চ্যানেল চ্যানেল-২৪ এ “মুক্তবাক” অনুষ্ঠানে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন বিচারিক বিষয় ও ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্ক করে ওই আবেদনটি নিস্পত্তি করা হয়েছিল।

এফএইচ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।