সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ০৭ জুলাই ২০১৮
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। অামরা (সরকার) পাঁচ বছরের জন্য অাসি, পাঁচ বছর পর অাবার জনগণের মাঝে ফিরে গিয়ে জবাবদিহিতা করতে হয়। অাপনারা ২০১৪ সালে আমাদের ভোট দিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় এনেছেন বলেই অাপনাদের জন্য কাজ করতে পারছি। আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিলেন বলেই অাজ দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।

শনিবার রাজধানীর অাজিমপুর কলোনিতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মিত বহুতল অাবাসিক ভবন উদ্বোধকালে তিনি এসব কথ বলেন।

অাজিমপুর কলোনিতে পৌঁছেই তিনি ফলক উন্মোচন করে ২০তলা বিশিষ্ঠ ৬টি অাবাসিক ভবনের উদ্বোধন করেন। এসব ভবনে ৪৫৬টি ফ্লাট নির্মাণ করা হয়েছে। এর অাগে সকালে তিনি মতিঝিল কলোনিতে ২০ তলা বিশিষ্ট চারটি বহুতল আবাসিক ভবন উদ্বোধন করেন। মতিঝিল কলোনির ২০ তলা বিশিষ্ট চারটি ভবনে ৫৩২টি ফ্লাট রয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন অাপনারা নিজের চোখে দেখছেন। অাপনারাও কাজ করছেন বলে দেশের মানুষকে অামরা উন্নত জীবন দিতে পারছি। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেই অাজ আমরা বাংলাদেশে চার লক্ষাধিক কোটি টাকার বাজেট পেশ করতে পেরেছি। শুধু বাজেট পেশ নয়, সে বাজেট বাস্তবায়নও করছি। অামাদের সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়ন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীরা যেন দিন শেষে বাসায় ফিরে শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেজন্য তাদের অাবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করছি। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১২৩ ভাগ বৃদ্ধি করেছি এবং অারও অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। পদ-পদবিও পরিবর্তন করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা কাজ করছেন তারা যেন ভালো থাকতে পারে সেজন্য অামরা ব্যবস্থা করছি। অাজ মতিঝিলে ৫৩২টি এবং অাজিমপুরে ৪৫৬টি ফ্লাট উদ্বোধন করলাম। সরকারের ধারাবাহিকতা থকলে এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার কর্মচারীদের অাবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯টি প্রকল্প চলছে। এগুলো সম্পন্ন হলে ৮ হাজার ফ্লাট নির্মাণ হবে। ২০২০ সালের মধ্যে এসব প্রকল্প শেষ হবে।

তিনি বলেন, শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে ফ্লাট নির্মাণ করে অাবাসন সমস্যার সমাধান করা হবে। শুধু সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা নয়, বেসরকারিভাবেও মানুষ যেন কিস্তিতে ফ্লাট নিতে পারে অামাদের সরকার সে ব্যবস্থাও করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ছিল সকল মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ নিশ্চিত করা। তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অামরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি। নিঃস্ব, ভূমিহীন এবং যাদের ভূমি অাছে আমরা তাদের বাড়ি করে দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অাপনারা যারা এসব ফ্লাটে বসবাস করবেন তাদের কাছে অামার কিছু অনুরোধ থাকবে। তা হলো বিদ্যুৎ, পানি ব্যবহার হিসেব করে করবেন। কারণ বিদ্যুৎ ও পানি উৎপাদন করতে সরকারের যে টাকা খরচ হয় তার চেয়ে অর্ধেক দামে অামরা অাপনাদের কাছে বিক্রি করি। নিজেদের ফ্লাট নিজেরা পরিষ্কার রাখবেন। নিজের বাড়ি নিজে পরিষ্কার রাখতে কাজ করলে তাতে লজ্জার কিছু নেই। এটা শুধু গিন্নি করবেন তা নয়। বাড়ির কর্তাকেও এটা করতে হবে। যখনই কাজ হয়ে যাবে সুইচ বন্ধ করে দেবেন। পানির কল কখনো খোলা রাখবেন না। গোছলের জন্য বালতি-মগ ব্যবহার করবেন। অামিও এসব করি। তাই সবার কাছে অনুরোধ এগুলো মেনে চলবেন। দেশের স্বার্থে অপচয় বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, এক সময় বিদ্যুৎ ও পানির জন্য এই ঢাকা শহরে হাহাকার ছিল। অনেক কষ্ট করে এসব সমস্যার সমাধান করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যেসব বাসা পাচ্ছেন সেখানে একটি ব্যালকনি অাছে। সেখানে একটি ফুল গাছ লাগাবেন প্রয়োজনে একটি কাঁচা মরিচের গাছ লাগাবেন। গাছ থেকে কাঁচা মরিচ ছিড়ে খাওয়ার মজাও কিন্তু অালাদা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অামরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছে গেছি। বাংলাদেশ এখন স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য। এদেশের প্রতিটি মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সে লক্ষ্যে অামরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী অাবুল মাল অাবদুল মুহিত, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এফএইচএস/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।