সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন উদ্বোধন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, ০৭ জুলাই ২০১৮
ফাইল ছবি

রাজধানীতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মিত ২০ তলা বিশিষ্ট চারটি বহুতল আবাসিক ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সকালে মতিঝিল কলোনিতে গিয়ে ভবনের ফলক উন্মোচন করেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ বসবাসের জন্য বাড়ি পাবে। একটি মানুষও বাড়ি ছাড়া থাকবে না।’

তিনি বলেন, সরকারের কাজ হচ্ছে জনসেবা করা। অামরা অাপনাদের সেবা করে যাচ্ছি। জাতির পিতা বলেছিলেন, এদেশে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না। অামরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অামাদের সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়ন। রাজধানীতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৯ হাজার ৭০২টি ফ্লাট নির্মাণ করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব ফ্লাট নির্মাণ করে অাবাসন সমস্যার সমাধান করা হবে। শুধু সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা নয়, বেসরকারিভাবেও মানুষ যেন কিস্তিতে ফ্লাট নিতে পারে অামাদের সরকার সে ব্যবস্থাও করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ছিল সকল মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ নিশ্চিত করা। তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অামরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি। নিঃস্ব, ভূমিহীন এবং যাদের ভূমি অাছে তাদের বাড়ি করে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা সকলের বেতন ১২৩ ভাগ বৃদ্ধি করেছি। তাদের পদ-পদবিও পরিবর্তন করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, অাপনারা যারা এসব ফ্লাটে বসবাস করবেন তাদের কাছে অামার কিছু অনুরোধ থাকবে। তা হলো বিদ্যুৎ, পানি ব্যবহার হিসেব করে করবেন। নিজেদের ফ্লাট নিজেরা পরিষ্কার রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন করা এসব ভবনে ৫৩২টি ফ্লাট রয়েছে হয়েছে। এসব ভবনে ৫৩২ জন কর্মচারী তাদের পরিবার নিয়ে বসবাসের সুযোগ পাবেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পর মোনাজাত করা কয়। এরপর প্রধানমন্ত্রঅ ভবনের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অালহাজ দবিরুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচএস/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।