এসডিজি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ মেনে চলার পরামর্শ
টেকশই উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন সহজ হবে না। তাই এটি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ মেনে চলতে হবে। এ জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
শুক্রবার (৬ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে এসডিজি বিষয়ক সম্মেলন শেষ হয়। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের সমাপনী সেশনে পর্যালোচনায় অংশ নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়, সড়ক যোগাযোগ ও মহাসড়ক বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বর্তমান রাজনৈতিক সরকার ২০১০ সালে মেগা প্রকল্প হাতে নেয়। যে কারণে আমরা এ খাতের সুফল পাচ্ছি।
তার মতে, জ্বালানি খাত উন্নত হলে তা পুরো মানব উন্নয়ন সূচককে উন্নত করে। ২০৪০ সাল নাগাদ সরকারের লক্ষ্য ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। এটি হলে বিনিয়োগে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে।
এর আগে গত দুই দিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, নারী ও শিশুবিষক মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সামগ্রিক উন্নয়ন পর্যালোচনা করা হয়।
এসব পর্যালোচনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দফতর, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে ১৭টি বিষয়ের ওপর নিজ নিজ দফতরের উন্নয়ন ফিরিস্তি, সমস্যা, সম্ভাবনা এবং প্রতিবন্ধকতার চিত্র তুলে ধরেন।
এমএ/এএইচ/পিআর