সার্কের প্রকৃত সাফল্য চাইলে কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ০৪ জুলাই ২০১৮

‘দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ফোরাম সার্কের (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) মৃত্যু ঘটতে চলেছে। এটি রোধ করে এর প্রকৃত সফলতা চাইলে আঞ্চলিক যোগাযোগ বা কানেকটিভিটি যেভাবেই হোক বাড়াতে হবে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক যোগাযোগ বা কানেকটিভিটির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি।’

বুধবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আঞ্চলিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিআরআই (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ) ও বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালকে নিয়ে গঠিত উপআঞ্চলিক জোট) উদ্যোগের গুরুত্ব’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী এই আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করে সেবসরকারি সংস্থা বিআইআইএসএস ও কোসাট। বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) এ সম্মেলন শেষ হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) কামরুল আহ্সান। বক্তব্য দেন নেপালের সাবেক বাণিজ্য সচিব পুরুষোত্তম ওঝা, রিজিওনাল সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক গামিনী কিরাওয়ালা, ভারতের ফোরাম ফর স্ট্র্যাটেজিক ইনিশিয়েটিভের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) দীপঙ্কর ব্যানার্জি, নেপালের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক ড. নিশ্চল এন পান্ডে প্রমুখ।

কামরুল আহ্সান বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সে কারণে আমরা এই দুই অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। বিবিআইএন উদ্যোগের পাশাপাশি আমরা বিআরআই উদ্যোগও বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছি।

ড. নিশ্চল এন পান্ডে বলেন, বিআরআই ও বিবিআইএন উদ্যোগ এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। তাতে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও হবে।

দীপঙ্কর ব্যানার্জি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ফোরাম সার্কের মৃত্যু ঘটতে চলেছে। তবে আঞ্চলিক যোগাযোগ আমাদের যেভাবেই হোক বাড়াতে হবে। আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানো ছাড়া বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব নয়। এ ছাড়া যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও জরুরি।

পুরুষোত্তম ওঝা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য কম হয়ে থাকে। এখানকার প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য কম হলেও অনেক দূরের একটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বেশি হতে দেখা যায়। কানেকটিভিটি ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হলে এই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা আরও বাড়বে।

সম্মেলনের উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে বলেই বিবিআইএন উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়বে।

সম্মেলনে বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান, সিপিডির অনারারি ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, বিআইআইএসএস’র গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এমএ/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।