মানহীন বালাইনাশক বিক্রিতে জেল-জরিমানার বিধান রেখে বিল পাস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ০২ জুলাই ২০১৮
ফাইল ছবি

মানহীন বালাইনাশক বিক্রি ও মিথ্যা ওয়ারেন্টি দেয়ার দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে বালাইনাশক (পেস্টিসাইড) বিল পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে।

সোমবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলে বলা হয়েছে, নিবন্ধন ছাড়া বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, তৈরি, মুজুদ, মোড়কজাতকরণ, বিক্রিয়, বাণিজ্যিকভিত্তিতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি এবং বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। মানহীন, ভেজাল ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বালাইনাশক বিক্রি ও মজুত করা হলে নিবন্ধন বাতিলসহ এক বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় করলে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য লাইসেন্সি প্রতিষ্ঠানকে বালাইনাশকের ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিবরণ দেয়ার পাশাপাশি এই ব্র্যান্ড ভেজাল ও নকল নয় এবং আগাছা ছাড়া উদ্ভিদ, প্রাণীকুল বা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়- এমন প্রতিশ্র্রুতি দিতে হবে। বালাইনাশক ব্র্যান্ডের নিবন্ধনের মেয়াদ হবে তিন বছর। বালাইনাশক আমদানি ও বিক্রির মেয়াদ হবে দুই বছর। নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান ‘পেস্টিসাইড অর্ডিন্যান্স, ১৯৭১’ সালে ইংরেজি ভাষায় জারি হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ ও ২০০৯ সালে অধাদেশ দুটি সীমিত আকারে সংশোধিত হয়। মন্ত্রিসভায় দেশে প্রচলিত সব আইন বাংলায় রূপান্তরের সিদ্ধান্তের আলোকে ‘পেস্টিসাইড অর্ডিন্যান্স, ১৯৭১’ রহিত করে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে নুতন আইন আকারে বাংলায় ভাষায় বালাইনাশক পেস্টিসাইড) আইন ২০১৮ প্রণীত হয়।

এইচএস/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।