ওমেন্স ওয়ার্ল্ডে নকল প্রসাধনী, ৩ লাখ টাকা জরিমানা
রূপসজ্জায় মেয়াদহীন, নকল ও ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহার ও বিক্রির দায়ে ওমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর বনানীতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
অভিযান তদারকি করেন অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। আর অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী।
শাহীন আরা মমতাজ জাগো নিউজকে বলেন, ওমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লার একটি নামকরা প্রতিষ্ঠান। নারীরা রূপচর্চার জন্য আস্থা নিয়ে এখানে আসেন। আস্থা ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে নানা কৌশলে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে ওমেন্স ওয়ার্ল্ড যার প্রমাণ মিলেছে আজকের অভিযানে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশের তৈরি নকল ও ভেজাল প্রসাধনীকে বিদেশি বলে রূপসজ্জায় ব্যবহার করছে। তারা যেসব পণ্য রূপসজ্জায় ব্যবহার করছে তার বেশিরভাগেরই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ব্যবহার করছে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে মানুষের স্বাস্থ্য ও ত্বক নিয়ে অবহেলা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া দেশি পণ্যকে বিদেশি বলে বিক্রি করছে। কারণ তাদের পণ্যের গায়ে আমদানিকারকের কোনো স্টিকার লাগানো ছিল না। দেশের তৈরি নকল ও ভেজাল পণ্য রাজধানীর চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনে এনে বিদেশি বলে বিক্রি করছে।
অধিদফতরের এ উপ-পরিচালক বলেন, বিউটি পার্লারগুলোর মধ্যে অন্যতম এ প্রতিষ্ঠানটির বেশিরভাগ পণ্যের মোড়কে খুচরা মূল্য লেখা নেই। তারা ভোক্তার কাছ থেকে ইচ্ছা মতো দাম নিচ্ছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটি একদিকে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। অন্যদিকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। যা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয়। এসব অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৭, ৪১, ৪৫ ও ৫১ ধারায় অনুযায়ী, ওমেন্স ওয়ার্ল্ডকে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযুক্ত বিষয়গুলো সংশোধন না করলে পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী তাদের দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে।
বাজার অভিযানের সার্বিক সহযোগিতা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)-১১ এর সদস্যরা।
এসআই/জেএইচ/আরআইপি