অপরাধ দূর করতে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি


প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৫

সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা দূর করতে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। মঙ্গলবার রাজধানী হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সমাজে অপরাধ প্রবণতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার তো ধারণা আমাদের যে মানসিকতা সেটার পরিবর্তন অত্যান্ত প্রয়োজনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিছু শব্দ এবং কিছু কর্মকর্তার পদবীর নাম পরিবর্তন করে দিয়েছেন। যেমন- আগে পরিচ্ছন্ন কর্মীকে `মেথর` বলা হতো, এখন কিন্তু তাদেরকে পরিচ্ছন্ন কর্মী বলা হচ্ছে। এরকম ভাবে মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। আমাদের সমাজে সেটা উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের বাসার কাজ করে যে লোকটি তাকে স্লেইভ হিসেবে ট্রিট করাটা বোধহয় ঠিক হবে না।

দেশে শিশুসহ বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন আগে পত্রিকায় দু`জনকে গাছের সঙ্গে বেধে নির্যাতনের ছবি এসেছে, তবে পরে সেটি অসত্য প্রমাণিত হয়েছে। সত্য বা যে ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যাবে সে সব অপরাধের ব্যাপারে বিচার অত্যন্ত দ্রুত হবে এবং প্রসিকউশন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার জন্য আদালতের কাছে প্রার্থনা করবে।

তিনি আরো বলেন ,আইন মন্ত্রণালয় প্রসিকউশনকে তৈরি করে রেখেছে রাজন হত্যা মামলার ব্যাপারে। কিছু দিন আগে এ ব্যাপারে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সে বিষয় আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম। আশা করছি খুব দ্রুততার সাথে এই বিচার আমরা শুরু করবো।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংখ্যার বিষয়ে পরিবর্তন দেখবেন। তবে তার জন্য আপনাদেরকে একটু অপেক্ষা করতে হবে।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কেউ চায় না মামলা জটের মধ্যে থাকতে। আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় যদি মামলা জটের মধ্যে পড়েন তাহলে তাদের অপরিসীম ক্ষতি হয়। তাদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারলে তারা কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। দেশের উন্নতি হয় এবং দেশ এগিয়ে যায়। কোর্টের বাইরে সমস্যা সমাধানের যে প্রচেষ্টা তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই হবে। সেটা নিয়েই বৈঠক হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা যেটা আছে সেগুলো কিভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে মতবিনিময় করলাম।

মন্ত্রী আরো বলেন, মানবপাচার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা এবং বিচারক বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে, আমরা ৪৫৭ জন বিচারক ও তার সঙ্গে লোকবল মিলয়ে ১ হাজর ৪৪ জনের সংস্থান করে একটি প্রস্তাব জনপ্রসাশন ও অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই আপনারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেখতে পাবেন।

আইনমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, আমরা সবাই মেডিয়েশন ও আরবিট্টেশন চাই (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি), কেউ ঝগড়া করতে চায় না। কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কিভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে আমরা পরার্মশ দিলাম। আশা করি আইনমন্ত্রী এটি দেখবেন।

এফএইচ/আরএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।