বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ব্যবস্থা চূড়ান্ত


প্রকাশিত: ১০:০৮ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৫

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ব্যবস্থা হচ্ছে। নারায়নগঞ্জের পূর্বাচলে এ জন্য অবকাঠামো করবে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্প কাজ শেষ হবে। আর ২০১৯ সাল থেকে নতুন জায়গা হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,  বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কেন্দ্র স্থাপনে ৭৯৬ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকার বহন করবে ১৩৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর প্রকল্প সাহায্য মিলছে চায়না থেকে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

তিনি আরো বলেন, বাণিজ্য মেলা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পণ্য প্রস্তুতকারী ও রফতানিকারকরা তাদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। ফলে বাণিজ্যের উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ বাড়বে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম স্থাপিত হবে। এতে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদার হবে। এসব দিক বিবেচনা করে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মেলা এখন যেখানে হয় সেখানে সচিবালয় হওয়ার কারণে সেখানে আর বাণিজ্য মেলা করা যাবে না বলেও জানান তিনি।

কামাল বলেন, ঢাকার পূর্বাচলে নির্মিত হচ্ছে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর অবশেষে এটি তৈরিতে অনুদান দিচ্ছে চীন সরকার। এর আগে তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দরের খালি জায়গায় এটি তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হলেও সময়মতো জমি না পাওয়ায় সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। অবশেষে পূর্বাচলের নিউ টাউন এলাকায় চার নম্বর সেক্টরের ৩১২ নম্বর রোডে ২০ একর জায়গা জুড়ে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সবিশন সেন্টার নামের স্থায়ী এ বাণিজ্য মেলা কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- প্রতিটি ৯ বর্গমিটার আয়তন বিশিষ্ট ৮০৬টি বুথ সংবলিত ২টি বড় হল রুম নির্মাণ, ১৫০০ কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থাকরণ এবং সম্মেলন কক্ষ, প্রেস সেন্টার, সভাকক্ষ, বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্র, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, সার্ভিস রুম, সাব-স্টেশন স্থাপন।

এসএ/আরএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।