বঙ্গোপসাগরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ টহল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৩ এএম, ২৮ জুন ২০১৮

বাংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় প্রথমবারের মতো যৌথ টহল দিচ্ছে দু’দেশের নৌবাহিনী। বাংলাদেশ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ও টহল বিমানের (মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট) অংশগ্রহণে বঙ্গোপসাগরে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হওয়া এ টহল শেষ হবে আগামী ৩ জুলাই।

সমুদ্র এলাকায় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, চোরাচালান ও মানবপাচার, জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নিরসনে এ যৌথ টহল পরিচালিত হবে। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ (বানৌজা) ঈসাখানের এসএমডব্লিউটি মিলনায়তনে যৌথ টহলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল সুনীল লানবা।

যৌথ এ টহলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ অংশগ্রহণ করবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমব কথা জানানো হয়েছে।

এ যৌথ টহল দু’দেশের জলসীমায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনী প্রধান। তিনি বলেন, বিশাল সমুদ্র এলাকায় এককভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। এক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, এ সংক্রান্ত তথ্যাদির আদান-প্রদান এবং নজরদারি সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা জোরদারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যা এ অঞ্চলের সমুদ্র বিষয়ক সচেতনতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

যৌথ টহলের সাফল্য কামনা করে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান বলেছেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি যুগান্তকারী সময় পার করছে। বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঐতিহাসিক এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।’

আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।