গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদাকে আসামি করার দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ২৬ জুন ২০১৮

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়াকে আসামি করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নাকি অসুস্থ। কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামি কাজের লোক পায় না, তাকে সেটা দেয়া হয়েছে। তার ছেলে, ওই বেয়াদব, সন্ত্রাসী লন্ডনে বসে আমাদের হাইকমিশনে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করার দাবিও জানান তিনি।

মঙ্গলবার সংসদে আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি জানান তিনি।

শেখ সেলিম বলেন, এই বাজেট আত্মনির্ভরশীল, পরনির্ভরশীল নয়। আমরা গত কয়েক অর্থবছরে ৯২ শতাংশ বাজেট বাস্তবায়ন করছি। অথচ প্রতিবারেই বাজেটের সময় কিছু বুদ্ধিজীবী, মতলববাজ বলে-বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এরা সব বাজেটের সময় ভাঙা ক্যাসেট বাজায়। এরা কোনদিন বলে না- বাজেট শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আসলে এরা বুদ্ধিজীবী নয়; এরা মতলববাজ ও সুযোগ-সন্ধানী।

আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিএনপি নেত্রীর জন্মই হয়েছে মিথ্যার মধ্য দিয়ে। তিনি বলেছেন- পদ্মা সেতু নাকি জোড়াতালি দিয়ে করা হচ্ছে, দেশের নাকি কোনো উন্নয়ন হয়নি। ওনার সময় উন্নয়ন হয়েছে শুধু খাম্বা প্রকল্পের। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমরা পদ্মা সেতু করছি।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালো থাকুক, এক শ্রেণির মানুষ তা চায় না। যারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি তারাই এটা চায় না। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আগামীতে বাংলাদেশে আর থাকবে কীনা, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। এরা বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র করছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন ও বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা জিয়া করেননি। একই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়াও আজ বঙ্গবন্ধুর খুনি ও রাজাকারদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলা নিয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ব্যাংকিং খাতে কিছু অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা আছে। অর্থমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তারা ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। যা তাদের মূলধনের ৬ গুণেরও বেশি। এটা হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কী করে জানি না। খেলাপি ঋণ আদায়ে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ শতাংশ, আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূহে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩২ শতাংশ। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাংকিং খাত যদি ভেঙে পড়ে তাহলে অনেক অসুবিধা হবে।

তিনি আরও বলেন, নাম মাত্র সুদে অনেকে ঋণ নিয়ে যাচ্ছে। আইন সবার জন্য সমান হতে হবে। এক পরিবার থেকে চারজন কীভাবে ব্যাংকের পরিচালক হন! একই ব্যক্তি কীভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক হন। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মীর্জা আজিজুল হক, সিপিডি’র ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও সুশীল সমাজের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। একইসঙ্গে তিনি ব্যাংক খাতে বিশৃঙ্খলার জন্য অর্থমন্ত্রীরও সমালোচনা করেন।

এইচএস/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।