জীবননগরে ৩শ’ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে


প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০১৫

ভারতের নদীয়া জেলার ভজনঘাট এলাকার ইছামতি নদীর পানি চুলকানির খাল হয়ে জীবননগর উপজেলার বেণীপুর বাওড়ে প্রবেশ করছে। একদিকে ভারী বর্ষণ এবং অপরদিকে গত পাঁচদিন থেকে ভারত থেকে উজানের পানি আসায় বেণীপুর বাওড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৩শ’ বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়া বিল-নার্সারি স্থাপন ও অবমুক্তকরণ প্রকল্পের আওতায় তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের এবং বেণীপুর মৎস্য সমিতির প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সাতটি পুকুরের মাছের রেণু ভেসে গেছে।


জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল হাফিজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফরহাদুর রেজা সোমবার বিকেলে বেণীপুর বাওড় ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচদিনে ভারতের ইছামতি নদীর পানি চুলকানির খাল হয়ে বেণীপুর বাওড়ে প্রবেশ করার কারণে বাওড়ের পানি প্রায় তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার বিকেলে এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, বেণীপুর বাওড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার দু’শত কৃষকের প্রায় তিনশ’ বিঘা জমির শতভাগ ধান পানিতে একেবারে তলিয়ে গেছে।


বেণীপুর গ্রামের কৃষক হাসেম আলী বলেন, এবার দেড় বিধা জমিতে ধানের আবাদ করেছিলাম। কিন্তু ধান প্রায় পাঁকা অবস্থায় কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে উজানের পানি আসায় সব ধান ডুবে গেছে। এ কারণে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। একই কথা বলেন ধানচাষি হাবেল উদ্দীন, হকাজ্জেল, হাসমত আলী ও আবুল কাশেম। তাদের সবারই দাবি টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে উজানের পানি আসাই সবার ধান ডুবে গেছে।

বেণীপুর গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষক দাবি করেন, প্রতিবছরই ভারতের ইছামতি নদীর পানি চুলকনির খাল হয়ে বেণীপুর বাওড়ে প্রবেশ করে এবং এ কারণে বাওড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় তিন থেকে চারশত বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়।


ফলে এলাকার কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েন। যদি সরকারিভাবে বাংলাদেশের সীমানায় চুলকনির খালের মুখে সুইচগেট তৈরি করা হয় তাহলে প্রতি বছর ৩/৪ শত বিঘা জমির ধার ডুবে যাবার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

সালাউদ্দীন কাজল/বিএ
                                       

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।