বাড্ডায় দুই ফার্মাসিউটিক্যালকে সিলগালা
রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন রুট ফার্মাসিউটিক্যাল ও ইউনিয়ন ফার্মাসিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল অবৈধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও কফ ট্যাবলেট জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত প্রতিষ্ঠান দুটিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ জনকে ৬ মাসের কারাদণ্ডসহ কারখানা দুইটি সিলগালা করে দিয়েছে।
দণ্ড ও জরিমানা প্রাপ্তরা হলেন- এনামুল হক (৩২), মো. বাবুল হোসেন (২৭) ও মো. জাহেদুল ইসলাম বাবুল (৪০)। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ড. মো. দিদারুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুর ১২টায় বাড্ডা এলাকায় রুট ফার্মাসিউটিক্যালস অভিযান চালানো হয়। সেখানে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি বিশেষজ্ঞদের অনুপস্থিতিতে শুধুমাত্র মেশিন অপারেটর দিয়ে ঔষধ প্রস্তুত করছে।
তিনি আরো জানান, পরিদর্শনকালে আরো দেখা যায়- প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয় নিষিদ্ধ ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট ও যৌন উত্তেজক প্যাকিং করছে এবং তারা ইউ কে ও ইউ এস এ-সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করছে। এ সকল ওষুধের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ম্যানেজার সদ্দুত্তর দিতে পারে নি।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করায় রোড ফার্মাসিউটিক্যালের ম্যার্কেটিং মো. এনামুল হক ও বাবুল হোসেন’কে ১৯৪০ সালের ড্রাগ অ্যাক্ট এর ১৮ এবং ২৭ ধারা মোতাবেক ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ওষুধ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা পূর্বক ৩২ হাজার যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
একই সময়ে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে ইউনিয়ন কেমিক্যাল কোম্পানি মালিক মো. জাহেদুল ইসলাম বাবুল জানান, প্রতিষ্ঠানটির ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কোন লাইসেন্স নেই। অনুমোদন ব্যতিরেকেই মিথ্যা বিজ্ঞাপন, কফ ট্যাবলেট তৈরি ও অনুমোদন ছাড়া বিএসটিআই`র সীল ব্যবহার করে ট্যাবলেট বাজারজাত করছিল।
ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের মালিক’কে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠান হতে ৬৩ হাজার পিস কফ ট্যাবলেট জব্দ এবং সিলগালা করা হয় বলেও জানান তিনি।
জেইউ/আরএস/এমআরআই