আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস আজ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩০ এএম, ২৩ জুন ২০১৮

আজ (২৩ জুন) আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যবৃন্দকে সততা, দক্ষতা ও সর্বোপরি পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

দিবসটি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত সকল কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।’

আবদুল হামিদ বলেন, এজন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সবসময় সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত সরকারি সেবাসহ সকল ন্যায্য অধিকার পায় তা নিশ্চিত করতে সিভিল সার্ভিসের প্রতিটি সদস্যকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব সময় জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের রয়েছে নিবিড় সংযোগ। একটি প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র গঠনে বর্তমান সরকার রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্য সামনে রেখে সরকারের বহুমুখী পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যবৃন্দকে সততা, দক্ষতা ও সর্বোপরি পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে জনসাধারণের চাহিদা ও সেবার ধরন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। কেবল যুগোপযোগী, মানসম্পন্ন ও পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে সংগতি রেখে চলা জনপ্রশাসনই জনগণকে দ্রুততর কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে সক্ষম।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ভালো কাজের স্বীকৃতি প্রদানে ‘সিভিল সার্ভিস পদক’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ প্রবর্তনের উদ্যোগ এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে আরও বেশি আন্তরিক হবেন বলেও তিনি আশাবাদী। রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি কর্মচারীগণ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করবেন।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীকে শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন, এ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ট্রান্সফর্মিং গভর্নেন্স টু রিয়েলাইজ দ্যা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

বর্তমান সরকার স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কর্মকাণ্ডে বিশ্বাসী- এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনপ্রশাসনকে জনমুখী ও সেবাবান্ধব করার জন্য সরকার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সরকারের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে নির্বাহী বিভাগ তথা জনপ্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সরকারি কাজে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসই করার জন্য কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, বিদ্যমান সেবার সহজীকরণ, ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সর্বোচ্চ ত্যাগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করাই সিভিল সার্ভিস সদস্যগণের মূল দায়িত্ব। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কর্মচারী সম্পর্কে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার সরকারি কর্মচারীদের পেশাগত উৎকর্ষ লাভের লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগ করে দেশের সর্বসাধারণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের ভালো কাজের স্বীকৃতি ও প্রণোদনা দেয়ার লক্ষ্যে তার সরকারের সময়ই ‘জনপ্রশাসন পদক’ প্রবর্তন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০১৮ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।