সিদ্ধিরগঞ্জে সিএনজি চালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কমপক্ষে ২০টি যানবাহন। বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা বিভিন্ন পরিবহনের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেন।
এ ঘটনায় সকাল ১০টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত কয়েক দফায় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ লাঠি চার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ মাসুদ, রফিক ও বাবুল মিয়া নামে ৩ জনকে আটক করে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল ইউটার্ন পর্যন্ত এলাকাতে বিক্ষোভ করে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। সিএনজি চালকরা মহাসড়কে পাথর ফেলে এবং যানবাহনের চাকার হাওয়া ছেড়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ গিয়ে বাঁধা দিলে অবরোধকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় ৩ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
বেলা সাড়ে ১১টায় সাইনবোর্ড এলাকাতে মিছিল বের করে বিক্ষোভ দেখিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন সিএনজি চালকরা। ওই সময়ে পুলিশ বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে সিএনজি অটোচালকরা ইট পাটকেল ছুড়লে পুলিশও লাঠিচার্জ করে পাল্টা অ্যাকশনে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের সময়ে আন্দোলনরতরা বিশটির মতো যানবাহন ভাঙচুর ও শতাধিক যানবাহনের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেন। এতে করে মহাসড়কে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিেশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সার্বিক) সরাফত উল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, অবরোধকারীদের ইটপাটকেল অখিল নামে একজন সাব-ইন্সপেক্টরসহ ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সিএনজি চালকরা ভাঙচুর করতে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। এখন সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
হোসেন চিশতী সিপলু/এমজেড/এমআরআই