ব্লু-ইকোনমি কর্তৃপক্ষ গঠনে আইন প্রণয়ন হচ্ছে
‘ব্লু-ইকোনমি কর্তৃপক্ষ’ গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা সমুদ্র বিজয়ের পর ব্লু-ইকোনমি কার্যক্রম জোরদারের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ব্লু ইকোনমি সেল গঠন করা হয়েছে। ব্লু-ইকোনমি কর্তৃপক্ষ গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়ণের কাজ চলছে। জ্বালানি, খনিজ ও মৎস্য সম্পদসহ ব্লু-ইকোনমির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের বিষয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশে প্রথমবারের মতো প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মাধ্যমে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি ২০০৯ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের গতিশীল কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের এক অন্যতম দৃশ্যমান অর্জন।
তিনি বলেন, এ দুটি রায়ের ফলে বঙ্গোপসাগরে সর্বমোট এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল লাভ করে যা মূল ভূখণ্ডের আয়তনের প্রায় ৮১ ভাগের সমান। বাংলাদেশের অর্জিত এ সমুদ্র এলাকাকে ঘিরে আমরা সমুদ্র অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমিকে সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে শনাক্ত করেছি। সমুদ্র বিষয়ক অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমির ব্যাপ্তি বিশাল।
এইউএ/এমএআর/জেআইএম