হাওরে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ১৯ জুন ২০১৮

হাওর এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

সংসদ সদস্য আমিনা আহমেদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৮৬ লাখ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন হয়েছে। যার মধ্যে ৩৩৮ লাখ মেট্রিক টন চাল, ১৩ লাখ মেট্রিক টন গম ও ৩৫ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, কৃষি ভিত্তিক শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ বিলে শতকরা ২০ ভাগ হারে রিবেট, ডাল, তেল, মসলা ও ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনে সরকারের সুদ ভর্তুকির আওতায় চার শতাংশ সুদে কৃষি ঋণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৫০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, কৃষি পণ্য রফতানিতে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য ২০ শতাংশ হারে ইনসেনটিভ দিচ্ছে সরকার।

ঢাকা- ১ আসনের সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে আবাদযোগ্য মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৬ হেক্টর, মোট সেচকৃত জমির পরিমাণ ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০০ হেক্টর। অর্থাৎ সেচেরে আওতায় জমির পরিমাণ শতকরা প্রায় ৮৭ শতাংশ, বাকি ১৩ শতাংশ জমি সেচের আওতার বাইরে আছে। সেচের আওতার বাহিরের কৃষি জমিসমূহ সেচের আওতায় আনার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায়- রাবার ড্যাম, ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন, সেচ যন্ত্রপাতি সহজলভ্যকরণ ইত্যাদির মাধ্যমে সেচের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর এক প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের বাজার মূল্য কেজি প্রতি যথাক্রমে ১৬ টাকা, ২২ টাকা, ১৫ টাকা এবং ২৫ টাকা।

তিনি জানান, কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিতের জন্য কৃষক পরিবারকে দুই কোটি পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ২০৮টি কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কৃষকের মাঝে এক কোটি ৯১ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৭ টি ও কৃষাণীর মাঝে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৪১টি কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয়। সরকারের বিশেষ সুবিধায় কৃষি উপকরণ কার্ডের মাধ্যমে খোলা সচল ১০ টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৯২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯০টি।

মন্ত্রী জানান, উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার ১০ ছিটমহলের (সাবেক) ছয় হাজার ৯৬৭ দশমিক ১৬৫ হেক্টর এলাকায় বসবাসরত সাত হাজার ৬৫১টি কৃষক পরিবারকে সরকারের কার্যক্রমের মূলধারায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক ‘ছিটমহলের (সাবেক) উন্নয়নের জন্য সমন্বিত কর্মসূচি‘ গ্রহণ করা হয়েছে।

এইউএ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।