২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের দাবি


প্রকাশিত: ০৯:৫৭ এএম, ০৩ আগস্ট ২০১৫

মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভটভটি বন্ধের প্রতিবাদে অটোটেম্পু মালিক-শ্রমিক সমন্বয় কমিটি বগুড়া শহরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের সাতমাথা এবং বিভিন্ন সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় মালিক ও শ্রমিক নেতারা সরকারের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। সরকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে প্রয়োজনে জেলার সকল অটোরিকশা   মালিক ও শ্রমিক একজোট হয়ে মহাসড়কে নামবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শহরে ৫ হাজারেরও বেশি লোকের সমাগম হওয়ায় প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা ছাড়াও আশেপাশের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা সিএনজিচালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আসাদুর রহমান দুলু, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ, চেলোপাড়া অটোরিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লতিফুল করিম, শেরপুর-ধুনট মোড় অটোরিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ শেখ প্রমুখ।

মানববন্ধন থেকে মালিক ও শ্রমিক নেতারা সরকারকে হুশিয়ারি করে বলেন, ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় যে অটোরিকশা শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলন নস্যাৎ করেছে তারাই আজ সরকারের রোষানলে পড়েছে। সরকার প্রতিদানের বদলে দেশের লাখ লাখ অটোরিকশা শ্রমিকের পেটে লাথি মারছে। তাদের মুখের ভাত কেড়ে নিচ্ছে।

কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এরপরও সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে প্রয়োজন হলে জেলার সকল অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক একজোট হয়ে মহাসড়কে নামবে বলেও মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে মহাসড়কে অটোরিকশা নিষিদ্ধ হওয়ার ৩য় দিনে সোমবার বগুড়া মহাসড়কসহ সংযোগ রাস্তাগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা শূন্য ছিলো। ফলে যাত্রী সাধারণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিষেধজ্ঞার কারণে চলাচলে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। যানবাহন না পেয়ে যাত্রীদের পায়ে হেঁটে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে দেখা গেছে।

লিমন বাসার/এসএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।